মোঃফেরদাউছ মিয়া,পলাশবাড়ী,গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উপসহকারী প্রকৌশলী ও স্বঘোষিত ঠিকাদার হেলালুর রহমান হেলালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও সরকারি ভবন নির্মাণে অনিয়ম, নিম্নমানের কাজ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে তিনি বারবার আলোচিত হয়েছেন। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে, হেলাল একাধিকবার ভিন্ন কৌশলে পাল্টা নাটক সাজিয়ে প্রতিবাদকারীদের দমন করার অপচেষ্টা চালান।
এরই ধারাবাহিকতায়, কয়েকদিন পূর্বে স্থানীয় জনগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের হয়রানির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তদন্তে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। জনমনে স্বস্তি ফিরলেও, থেমে থাকেননি হেলাল।
সর্বশেষ ঘটনায়, হেলাল এবার গাইবান্ধা জেলা থেকে ভাড়ায় কিছু সাংবাদিক এবং কথিত এক “ভুয়া ঠিকাদার” এনে নতুন একটি নাটক সাজিয়েছেন। অভিযোগ করা হয়েছে, পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাকি চাঁদা দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এটি হেলালের পূর্বপরিকল্পিত অপচেষ্টা, যাতে করে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা ধামাচাপা দেওয়া যায় এবং প্রতিবাদী কণ্ঠগুলোকে ভয় দেখিয়ে চুপ করানো যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ ও জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। জনসচেতন মহল মনে করছেন, হেলালের কার্যকলাপ এখনই রোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হয়রানি ও প্রশাসনিক বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
জনগণের স্বার্থে, পলাশবাড়ীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি।