
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ফরহাদ মজহারের জবানবন্দির সঙ্গে প্রাপ্ত তথ্যের মিল নেই। তদন্ত শেষে শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদর দফতরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ফরহাদ মজহারের অপহরণ রহস্যের সমাধান দু-এক দিনের মধ্যেই হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফরহাদ মজহার বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন— তা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা যে ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ, কললিস্ট এবং বস্তুগত সাক্ষ্য- প্রমাণ পেয়েছি তার সঙ্গে উনার বক্তব্যের মিল নেই।’
এ সময় কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যের বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য আমাদের আরও দু-একদিনের মতো সময় লাগবে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, আইজিপি একেএম শহীদুল হক দু-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাবেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ভোর সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর আদাবর রিং রোড এলাকার হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর একটি সাদা মাইক্রোবাসে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি স্ত্রী ফরিদা আখতারকে মোবাইলে জানান। এরপর আরও অন্তত ৫ বার তিনি স্ত্রীর কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দেওয়ার কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে দিনভর দেশজুড়ে আলোচনা চলতে থাকে। ফরিদা আখতারের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রযুক্তির সাহায্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানতে পারেন ফরহাদ মজহারকে গাবতলী, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, যশোর হয়ে খুলনার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুলনা থেকে ঢাকায় আসার পথে ফরহাদ মজহারকে যশোরের নওয়াপাড়ায় হানিফ বাস থেকে উদ্ধার করে। ৪ জুলাই তাকে ঢাকায় আনার পর আদালতে নেওয়া হলে তিনি ১৬৪ ধারায় ভিকটিম হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার বাদী হয়ে সোমবার (৩ জুলাই) রাতেই আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তভার প্রথমে আদাবর থানা ও পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।