সাকিব আহসান,পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় নিবন্ধিত নার্সারির সংখ্যা প্রায় ৩০ টি।
এছাড়াও বিগত দুই দশকে ইউক্যালিপটাসের চারা গ্রাম-গঞ্জ-নগর-শহর সর্বত্রই চাহিদার কারণে ব্যাপকভাবে রোপিত হয়েছে।
এখন সেই চারাগুলো দানবীয় বৃক্ষে রূপ নিয়েছে। সেই সাথে আবাদি জমির পুষ্টিগুণসম্পন্ন রস ও পানি টেনে নিচ্ছে।
কৃষিবিদ ওয়াকিলুজ্জামান জানান,”
একটি ইউক্যালিপটাস গাছ সাধারণত তার আশেপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকা এবং ভূগর্ভের প্রায় ৫০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত পানি শোষণ করতে পারে।ইউক্যালিপটাস গাছ খুব দ্রুত পানি শোষণ করে এবং এটি ২৪ ঘণ্টাই চলতে থাকে। এই গাছটি পানি শোষণ করে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাতাসে ছেড়ে দেয়, যার ফলে আশপাশের এলাকায় পানির অভাব দেখা দিতে পারে।”
এই কারণে, যে এলাকায় ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয়, সেখানকার মাটি দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায় এবং অন্যান্য গাছপালার জন্মানো কঠিন হয়ে পড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লায়লা আনজুমান জানান, “কম বৃষ্টিপাতযুক্ত এলাকায় ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো উচিত নয়, কারণ এটি মাটির আর্দ্রতা কমিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে। ”
ইউক্যালিপটাস একটি বহুবর্ষজীবী, দ্রুত বর্ধনশীল গাছ যা Myrtaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটি মূলত অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় প্রজাতি, তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি চাষ করা হয়। ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা, বাকল, এবং তেল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। ইউক্যালিপটাস গাছের দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিযোজন ক্ষমতার কারণে এটি কাঠের জন্য জনপ্রিয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন মাটি থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করা এবং আশেপাশের উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করা।
কিছু ক্ষেত্রে, ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এরা প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে, যা মাটির আর্দ্রতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অন্যান্য উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে।
তাদের পাতা থেকে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান নিঃসৃত হতে পারে, যা মাটির উর্বরতা হ্রাস করে এবং অন্যান্য উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কিছু প্রজাতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তাদের চারপাশের পরিবেশকে প্রভাবিত করে, যা পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করতে পারে।