খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এবছর এইচএসসিসহ সমমানের পরীা সমূহ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার ২৬ জুন।এদিন সকাল ১০টায় এইচএসসি’র বাংলা প্রথমপত্র, আলিম-এর কোরআন মাজিদ এবং এইচএসসি (বিএমটি) বাংলা বিষয়ের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। সারাদেশের ন্যায় এবারও পলাশবাড়ী উপজেলায় ৫টি কেন্দ্রের বিপরীতে মোট ২ হাজার ৪শ’ ৮৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীা অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে দেশের সকল কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
শিক্ষা বোর্ড সমূহ পরীক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। যথাক্রমে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লিখন ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধু সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা এবং বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো অবস্থাতেই মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার্থী শুধু প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করা হয়েছে। অর্থাৎ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীা নেওয়া হবে না। প্রতিটি অংশের উপস্থিতি পত্রে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে মাইক ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরি, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে নকল প্রতিরোধে পোস্টার টানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে শুধু এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি থাকবে। এছাড়া বর্ষাকালে সম্ভাব্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসকে আগে ভাগে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। অপ্রত্যাশিত কিংবা অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাড়তি মনিটরিং চালানো হবে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্যবিধি ক্ষেত্রে কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলম জানান, এ উপজেলায় চলতি এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নকলমুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ নজরদারি থাকবে। এ ব্যাপারে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সহিত অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে সদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।