1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
তারাগঞ্জে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা পলাশবাড়ী পৌরসভার বাজেট ঘোষণা: অর্ধেকেরও কমে নেমে এলো বাজেট! পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন: তদন্তে মিলছে না অস্তিত্ব! তারাগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে অনিয়ম বসুন্ধরা শুভসংঘের কমিটি গঠন উপলক্ষে পলাশবাড়ীতে আলোচনা সভা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের সমাবেশে ঐতিহ্য ও ভূমির অধিকার রক্ষার দাবী কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবুধকে ধর্ষণের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউপির উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা ভরতখালী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে চিন্তিত চরাঞ্চলের গর্ভবতীরা তারাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার মৃত্যু

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত পিছিয়েছে!

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক: মোঃ ফেরদাউছ মিয়া
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধাঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ ফাতেমা কাওসার মিশুর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়ে চাকরি গ্রহণ, দায়িত্বে অবহেলা, আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন ২০২৫) পলাশবাড়ীতে জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে নির্ধারিত তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কার্যক্রম আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হতে পারে।

সূত্র জানায়, উপজেলার শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গত ৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে কৃষি উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, ফাতেমা কাওসার মিশু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদর্শন করে ৩২তম বিসিএস (বিশেষ) এর মাধ্যমে কৃষি ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একই কর্মস্থল পলাশবাড়ী উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকেন এবং কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত না হয়ে দায়িত্বে গাফিলতি করেন। নিজেকে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে চলাফেরা করেন বলেও জানা গেছে।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দকৃত প্রদর্শনী, সার, বীজ, প্রশিক্ষণ ভাতা, খাবার ও নাস্তার খরচ বাবদ অর্থ কম বিতরণ, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ভূয়া ভাউচার ও ভ্রমণ বিল তৈরি করে সরকারি অর্থ উত্তোলন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকেও সম্মানী গ্রহণ এবং মাঠ পর্যায়ে কোনো কার্যক্রম ছাড়াই কাগজে-কলমে পরিদর্শনের তথ্য দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং অনেককেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বদলি হতে বাধ্য করেছেন। সাধারণ কৃষকেরা সেবা চাইলে তিনি সবসময় ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান এবং তাদের প্রতি সাহায্য করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। অভিযোগকারী বলেন, “তিনি বলেন, ‘আমি বিসিএস ক্যাডার, কিভাবে চাকরি করবো তা আমার বিষয়।’ এ ধরনের মনোভাব একজন সরকারি কর্মকর্তার পেশাদারিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।”

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, একজন বদমেজাজি, দায়িত্বহীন ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষিসেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি দ্রুত তদন্ত শেষ করে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে কৃষি কার্যক্রমে আরও বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।

সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি স্থানীয়দের জোরালো দাবি, এমন গুরুতর অভিযোগের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, একজন কৃষি কর্মকর্তার নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা প্রশ্নের মুখে পড়লে সমগ্র কৃষি সেবা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft