আব্দুল হান্নান আকন্দঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবশেষে মঙ্গলবার (২০মে/২৫) বিকালে ভাগিয়ে আনা বন্ধুর বউয়ের সাথে মালা বদল ও নিবন্ধন করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেন সেই গ্রাম পুলিশ তিলক চাঁন। তিনি উপজেলার ৮ নং নাকাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ পদে কর্মরত। তিলক চাঁন ওই ইউনিয়নের ডুমুর গাছা গ্রামের রামপতি রবিদাসের পুত্র।
এরআগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় ওই গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বন্ধুর বউকে ভাগিয়ে এনে দুই বছর ধরে ধর্ষণের বিষয়টি ভাইরাল হয়। এরই প্রেীতে স্থানীয় থানা পুলিশের হস্তেেপ হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করে ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুয়াযী সামাজিক স্বীকৃতি ফিরে পান সন্ধ্যা রানী (৩০)। পৌরসভার হিন্দু বিবাহ রেজিষ্টার শ্রী সাগর চন্দ্র জানান, সন্ধ্যা রানীর সাথে তিলক চাঁনের এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্য্যে বিবাহ নিবন্ধনসহ ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য; রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খাসতালুক গ্রামের জনৈক ভীম বাবর বন্ধু হবার সূত্রে তিলক চাঁন মাঝেমধ্যেই ভীম বাবুর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই এক পর্যায়ে তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ২০২৩ সালের ৯ জুন মধ্যরাতে পালিয়ে যান তাকে নিয়ে। সেই থেকেই সন্ধ্যা রানীকে বিয়ে না করে নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় তাকে নিয়ে ঘর সংসার করে আসছিলেন তিলক চাঁন।