খবরবাড়ি ডেস্কঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে সিআরইএ প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে গাইবান্ধায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নার্গিস জাহান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার-অন-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক খন্দকার জাহিদ সরওয়ার। সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে নিজেদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন উপজেলা জিকা কমিটির সহ-সভাপ্রধান বিথি বেগম, নারী দলের সভাপ্রধান হালিমা বেগম, মোর্শেদা বেগম, যুবক-যুবতী দলের সদস্য নুরুল ইসলাম এবং কিশোরী আল্পনা আক্তার প্রমুখ।
এসকেএস ফাউন্ডেশনের পাবলিক রিলেশন আন্ডে নেটওয়ার্কিংয়ের সমন্বয়কারী আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই ক্রিয়া প্রকল্পের সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী লাভলী খাতুন। এতে প্রকল্পের অংশীজন জেলা পর্যায়ের সরকারি, বেসরকারি ও কমিউনিটি ভিত্তিক স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও নারীর মতায়নের লক্ষ্যে দরিদ্র মানুষের সেবাদানে সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের জন্য সঠিক পন্থা খুঁজে বের করা, সেবাদাতা এবং সেবা গ্রহীতার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করা, সেবাগ্রহিতাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, সাধারণ মানুষের আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, দায়িত্ব ও নেতৃত্ব তৈরি করা, সুশাসনের ও সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের পথ তৈরি করার উদ্দেশ্যে সরকারি, বেসরকারি ও কমিউনিটি স্টেকহোল্ডারদেরও অংশগ্রহণে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এবং সুইডেন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের ‘সম্প্রদায় ভিত্তিক স্থিতিস্থাপকতা। নারী ক্ষমতায় এবং কর্ম (সিআরইএ)’ প্রকল্প এ সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, এসকেএসের সিআরইএ প্রকল্প চরাঞ্চলের পিছিয়েপড়া নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী ও কিশোরীদের ক্ষমতায়নে নারী-পুরুষ ও যুবাদের অংশগ্রহণ দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে বলে আশা করেন। তিনি বাল্যবিবাহ বন্ধে অংশগ্রহণকারীদের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে উপস্থাপনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।