খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সন্দেহজনক ভাবে পিকআপ ভর্তি চাল আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিতরণকৃত ভিজিএফ এর চাল সন্দেহে রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজারে আটক করে জনতা। খবর পেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃত চাল থানা হেফাজতে নিয়েছেন।
পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার হারুন মিয়া ও স্থানীয়রা বলেন, কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ধুবনী কঞ্চিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ হতে চাল ও ধান ব্যবসায়ী ছকু মিয়া ও মোস্তা মিয়ার গোডাউন হতে পার্শ্বতী গাইবান্ধা সদর উপজেলার লেংগাবাজারস্থ চাল ও ধান ব্যবসায়ী মোস্তাফিজার রহমানের গোডাউনে পিকআপ গাড়িতে করে সাড়ে পাঁচশত মেট্রিকটন চাল নিয়ে যাচ্ছিল। মোস্তাফিজার রহমান ওই দুই ব্যবসায়ীর নিকট চালগুলো কিনেছেন। স্থানীয়দের দাবী শনিবার (১৫ মার্চ) কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেছেন। ওইসব চাল কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ভিজিএফ এর চাল।
কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার আলম সরকার বলেন, শনিবার সহকারি কমিশনার ভুমি মো. মাসুদুর রহমান ও ট্যাক অফিসারের উপস্থিতিতে তাঁর ইউনিয়নের ৫ হাজার ৮১৬ জন অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত চালের ১ হাজার ১৬৩ খালি বস্তা এখনো তার পরিষদের গোডাউনে জমা রয়েছে। আটককৃত চাল সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ওই ব্যবসায়ীগণ নিয়মিত ভাবে খোলা বাজারে ধান ও চাল ক্রয় করে মহাজনের নিকট বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিয়ার রহমান বলেন, তিনি গাইবান্ধা জেলায় মিটিং করছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, আটককৃত চাল সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর আদেশে থানায় রয়েছে। সঠিক যাচাই ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাইবান্ধা জেলায় মিটিং এ রয়েছেন। তাঁর আদেশে আটককৃত চালগুলো খানায় নেয়া হয়েছে। সঠিক যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলায় মিটিং এ রয়েছি। ফিরে এসে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলব।