
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ফুলছড়ি তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ঝুঁকির মধ্যে থাকা ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় বসবাসরত মানুষেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় ব্রহ্মপুত্র–যমুনার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪০টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানির চাপ বাড়লেই বাঁধের ওই অংশগুলো ভেঙে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। গত এক দশকে এ বাঁধটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও এর সংস্কার বা মেরামত কাজ কোনটাই করা হয়নি। ফলে যেকোন সময় বাঁধের দুর্বল অংশগুলোতে পানির চাপ পড়লেই ভেঙ্গে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সুন্দরগঞ্জ হতে ফুলছড়ি হয়ে সাঘাটার জুমারবাড়ি পর্যন্ত গাইবান্ধা অংশে ৭৮ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এদিকে শনিবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল মোটরসাইকেল যোগে সাঘাটার জুমারবাড়ি থেকে সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী চন্দ্র শেখর, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবদুল হালিম টলষ্টয়, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষ, ভরতখালী ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আজাদ শীতল, গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম, উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মহাতাব উদ্দিন প্রমুখ।