খবররাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধায় বহিরাগত সন্ত্রাসী অছাত্রের দ্বারা শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ চত্ত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. খলিলুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, শিক্ষক এবিএম জিল্লুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, কাইয়ুম আজাদ, শিক্ষাথী শরিফুল ইসলাম আকাশ, নাসির উল্লাহ, রিফাত সরকার, এরফান আহমেদ, আবরার শাকিল ও আশিকুর রহমান আশিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা পৌর এলাকার থানা পাড়ার সাজন সরকার মাদকাসক্ত, বখাটে, সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামী। রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাজন প্রায়ই সরকারি কলেজে ছিনতাই করতেন। বিশেষ করে থানা পাড়ার ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের কাছে সাজন এক আতংকের নাম। সাজনের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ ও মুখ খোলার সাহস পেতেন না। এ কারণে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন তার কাছে। সম্প্রতি কলেজ চত্ত্বরে একজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন ও হত্যার হুমকি দেন সাজন। যা অত্যন্ত অপমানজনক।
বক্তারা আরো বলেন, এমনকি সাজন এও বলে বেড়ান যে, পুলিশ গ্রেফতার করলে মা ছাড়িয়ে আনবে। আমি পুলিশকে ভয় পাইনা। জেল আমার কাছে কিছুই না। ২০১৩ সালের দিকে গাইবান্ধা শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন রেললাইনে মোবাইল ফোন ছিনতাইকে কেন্দ্র্র করে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যা করেন এই সাজন। আর তাই কলেজ চত্ত্বরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবী জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ছাত্র হোস্টেল চালু, মাদকসেবন বন্ধ করা, কলেজ ফটকে নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা, শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের মামলা দায়ের, কলেজ ক্যান্টিনে বিড়ি, সিগারেটসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিক্রি বন্ধ করাসহ বহিরাগতরা রাত ৯টার পরে কলেজে প্রবেশ না করার সাত দফা বাস্তবায়নের দাবীতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এরআগে একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে। শেষে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, রওশন আলম পাপুল, গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়েজীদ বোস্তামী জ্বীম ও সংগঠক অতনু সাহাসহ থানা পাড়া ও কলেজ পাড়ার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।