খবরবাড়ি ডেস্কঃ ‘গাইবান্ধা পৌরবাসী সচেতন, পরিচ্ছন্ন নগর জীবন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধা পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নগরবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভা হয়েছে।
ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সহযোগিতায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াপদা পাড়ায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গাইবান্ধা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. সায়হান আলী। ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর অপুর্ব সাহার সঞ্চালনায় মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হানিফ সরদার, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আব্দুল আহাদ মিয়া, অফিসার মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন আব্দুল্লাহ আল তারিক, ইমাম ও খতিব মুফতী মামুনুর রশিদ, মশিউর রহমান, সাবু মিয়া ও প্রদীপ কুমার কৃমার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শহরের বর্জ্য অপসারণ পৌরসভার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সফল হওয়া কঠিন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক বাড়িতে যদি বর্জ্য পৃথকীকরণ করা যায় তাহলে পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের উপরে চাপ কমে যাবে। পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে প্রতি মাসে যে পরিমাণ ব্যয় হয় সেটাও অনেক কমে যাবে। সব ওয়ার্ডে বর্জ্য পৃথকীকরণ করা বাস্তবায়ন করা গেলে গাইবান্ধা পৌরসভা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগর হিসাবে গড়ে উঠবে।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হানিফ সরদার বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর গাইবান্ধা পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছিল। পৌর প্রশাসক এবং পৌর পরিষদ ও পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে বানিয়ারজান ডাম্পিং স্টেশনে সংরক্ষিত ময়লা আবর্জনা অপসারণসহ পৌর এলাকার প্রতিদিনের ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। এখানে আমাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ব্র্যাক ইউডিপি। তাদের সহযোগিতায় পচনশীল ও অপচনশীল ময়লা আবর্জনা পৃথকীকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখাড়া পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি থেকে উৎপাদিত ময়লা আবর্জনা পৃথকীকরণ এবং পৃথক পৃথকভাবে সংগ্রহের লক্ষ্যে ৬নং ওয়ার্ডে পাইলট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রম সফল হলে অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও পর্যায়ক্রমে পৃথকীকরণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।