খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের রাইতি নড়াইল গ্রামের ঝিলবান্ধা রাস্তার মোড় হতে খামার নড়াইল পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারের ইউকিপটার্স গাছ অবৈধ পন্থায় রাতের আঁধারে চুরি করে কাটার অভিযোগে জড়িত চিহিৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের। আদালতে জামিন নিতে গেলে ২ আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বেত কাপা ইউপির রাইতি নড়াইল গ্রামের ঝিলবান্ধা রাস্তার মোড় হতে খামার নড়াইল রাস্তার দু’ধারে বিগত প্রায় ১৫ বছর আগে স্থানীয়রাসহ তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ওইসব ইউকিপটার্স ছাড়াও নানা প্রজাতির গাছ রোপন করেন। সময়ের ব্যবধানে গাছগুলো বড় হয়ে মূল্যবান হয়। ফলে ওই এলাকার কতিপয় চিহ্নিত গাছখেকো রাইতি নড়াইল গ্রামের আব্দুল কাদের সরকারের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার কামাল হোসেন, একই গ্রামের কাফি প্রধানের ছেলে আরিফ মিয়া ও মৃত আব্দুল কুদ্দুস আকন্দের ছেলে পাপুল সরকারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১৫ জন প্রায় রাতেই প্রশাসনের দৃষ্টিকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২ শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে।
এরপরেও রাস্তার অবশিষ্ট গাছ সমূহ রাতের আঁধারে চুরি করে বিক্রয় করতে গাছখেকোরা তৎপর থাকে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল এবং প্রশাসন ছাড়াও সকলের নজরে আসে।
এমতাবস্থায়; গত ৩১ জানুয়ারি ভোর রাতে কামাল হোসেন ও আরিফ হোসেনসহ তার সহযোগীরা রাইতি নড়াইল ঝিলবান্ধা মোড় হতে নান্দিশহর রাস্তার প্রায় মূল্যবান ৫০টি ইউকিপ টার্স গাছ নিলাম কিংবা বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই অবৈধ পন্থায় চুরি করে বিক্রি করে। কর্তনকৃত গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা বলে জানা যায়। এব্যাপারে পলাশবাড়ী প্রেস কাব সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক পাপুল সরকার বাদী হয়ে এজাহার নামীয় কামাল হোসেন, আরিফ মিয়া ও পাপুল সরকারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামী করে গত ৩১ জানুয়ারি পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা (নং-০২/২৬) দায়ের করেন।মামলা রুজু পরবর্তী পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি টীম গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পার্শ্ববর্তী ঢোলভাঙ্গা বাজার এলাকার সাজ্জাদের স-মিল চত্বর থেকে চোরাইকৃত ইউকিপটার্স গাছের ১০টি গুড়ি উদ্ধার (জব্দ) করে থানায় নেয়া হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জুলফিকার আলী ভূট্টো মামলা এবং গাছের গুড়ি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত চালিয়ে আসছিলেন।
এদিকে; দায়েরকৃত মামলার আসামীদের মধ্যে কামাল হোসেন ও আরিফ মিয়া জামিন নিতে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ক্ষুব্ধ-অসন্তোষ এলাকাবাসির মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।