গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও স্থানীয়ভাবে কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের কারণে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বিশাল জনপদ। পানি বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ক্রমেই হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী ও নামাপাড়া এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এসবস্থানে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ৫০টি পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর উড়িয়া গ্রামে বালুভর্তি এক হাজার জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং করার কথা জানিয়েছে। উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহাতাব উদ্দিন সরকার জানান, উত্তর উড়িয়ায় কয়েকদিনের ভাঙনে ৩৫টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গৃহহীন পরিবারগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এখন পর্যন্ত তাদেরকে কোন প্রকার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয় নাই। তিনি বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। তিনি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।