
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় বাতিলকৃত সেচ লাইসেন্স এবং বিচ্ছিন্নকৃত বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ম বহির্ভুতভাবে পুনরায় চালু’র জোর পায়তারা চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের শাহিন মিয়া ওই মৌজায় ২৪৫ দাগে বিএডিসি’র আওতায় লাইসেন্স নং- অ/৩৫২ এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় একই গ্রামের আব্দুল লতিফ পরবর্তীতে সুকৌশলে তথ্য গোপন করে শাহিনের সেচ বর্ডিং থেকে প্রায় ৩৫০ ফিট দূরে বর্ডিং ছাড়াই একটি লাইসেন্স গ্রহণ করেন। ভুক্তভোগী শাহিন মিয়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) গাইবান্ধা ক্ষুত্র সেচ জোন অফিস বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সহকারি প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী সঠিক তদন্ত পূর্বক আব্দুল লতিফ মিয়ার লাইসেন্স এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিধিসম্মত না হওয়ায় লতিফের লাইসেন্স বাতিল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গত ১৮/০৮/২০২৩ তারিখে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গাইবান্ধার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করেন। উক্ত পত্রের আলোকে আব্দুল লতিফের লাইসেন্স বাতিল এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত আব্দুল লতিফ তার বাতিলকৃত লাইসেন্স ও বিছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে; আব্দুল লতিফের বাতিলকৃত লাইসেন্স এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুসুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী শাহিন মিয়া।