গাইবান্ধ জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনায় দু’গ্রামের সহস্্রাধিক মানুষের দুই ঘন্টাব্যপী সংঘর্ষের ঘটনায় কমপেক্ষ ১২ জন আহত হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দফায়-দফায় চলাকালে সংঘর্ষে উভয় গ্রামের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। এসময় রেলপথ থেকে আনা পাথরের ঢিলে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি বাজার এলাকার বাড়িঘরসহ দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রথমে খবর পেয়ে এদিন সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ টিম এসে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। পরে গাইবান্ধার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার উপজেলার মহিমাগঞ্জ টাউন ক্লাব মাঠে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই ইউনিয়নের গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে এগিয়ে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরই জের ধরে এদিন রোবববার সকাল ১০টার দিকে গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েক’শ মানুষ লাঠি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এরমধ্যে মাথায় হেলমেট পরে ব্যাগে বহন করা রেলপথ থেকে আনা পাথরের টুকরা দিয়ে উভয় দিক থেকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১২ জন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), ফেরদৌস (২০), জোহা (৫৫) ও রানা (৩২) এবং জিরাই গ্রামের সজিব (২০), মিঠু (৩০), ইসরাইল (৩৫) ও হানিফ (২০)। আহত অন্যান্যদের নাম পাওয়া সম্ভব হয়নি। আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এদিন দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, গাইবান্ধার সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম উভয় গ্রামের লোকজনের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়।