গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শশুরবাড়ী থেকে শামীম মিয়া (২২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শামীম মিয়া পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ধুনদিয়া গ্রামের আবদুল ওয়ারেজ শালদারের ছেলে ও পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মাহামুদপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে জামাই। ৩ জুলাই সোমবার খামার মাহামুদপুর গ্রাম থেকে উক্ত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শামীম মিয়া এক বছর আগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন পলাশবাড়ী উপজেলার ৮নং মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার মাহামুদপুর গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে ফাতেমাকে। উক্ত বিয়ের পর থেকে সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা লেগে থাকতো। গত এক সপ্তাহ আগেও স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সঙ্গে শামীমের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী তার বাপের বাড়ী চলে আসেন। এরপর শামীম মোবাইল ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। গতকাল রবিবার রাতেও কথা হয় বলে জানান স্ত্রী ফাতেমা। তিনি আরও বলেন, রাত ১০টার দিকে শামীমের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। এরপর সকালে প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে বাড়ীর পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।
এব্যাপারে পলাশবাড়ীর হরিণাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুর আলম বলেন, খবর পেয়ে শামীম নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।