লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি বাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই এলাকার চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা থেকে ভেলাগুড়ি বাজারগামী ১১ হাজার ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ভেলাগুড়ি বাজারের সামসুদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম (৩০), একই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে ফেরদৌস আলম (২৫), গোলাপ মিয়ার ছেলে উকিল হোসেন (২৬) ও একই ইউনিয়নের মধ্যকাদমা এলাকার জনাব আলীর ছেলে মিল্টন মিয়া (২৫)।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবীর বলেন, ‘হাতীবান্ধা-ভেলাগুড়িগামী ১১ হাজার ভোল্ট সঞ্চালন লাইন থেকে ভেলাগুড়ি বাজার এলাকার অপর একটি সাইট লাইনের ছেঁড়া তার সংযোগ দিতে গিয়ে পিলারে থাকা একজন শ্রমিক ও মাটিতে তার ধরে থাকা অপর তিন শ্রমিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান ও লালমনিরহাট-১ আসনের (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) সাংসদ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনকে জানানো হয়েছে।’
চেয়ারম্যান মহির আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার দায় বিদ্যুৎ বিভাগকেই নিতে হবে, কারণ তারা নিজেরা কাজ না করে স্থানীয় লাইনম্যান দিয়ে কাজ করায়। অথচ এখন মৃত্যুর ঘটনার দায় এড়াতে তারা ভিন্ন কথা বলছে। তাই নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে আর্থিক ক্ষতিপূরণও বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হাতীবান্ধা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাদেরকে না জানিয়েই কেউ কাজ করে থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চার ব্যক্তির মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবীর বলেন, ‘দুর্ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলা উদ্দিন খান। তাছাড়া নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার বিষয়টিও চিন্তাভাবনা চলছে।’