গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পুলিশ পুলিশি নির্দেশ অমান্যকরে জোর পুর্বক জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে জেলা মহিলা আওয়ামিলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী আকতার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটিঘটেছে ৭ জুন বুধবার দুপুরে পৌর শহরের জামালপুর গ্রামে।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে যানাযায়,জামালপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মোজ্জাম্মেল হকের নিকট ১০/১২ বছর পুর্বে সারে ৭ শতক জমি দলিল মুলে ক্রয় করে আব্দুর রাজ্জাক নামে জনৈক্য ব্যাক্তি। বেশ কয়েকবার তিনি ওই জমিতে চাষাবাদ করেছেন।
একই ব্যাক্তির নিকট শ্যামুলী আকতার কয়েক বছর পর সারে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন বলে শ্যামুলীর পরিবার জানায়।
১০ বছরপুর্বে ক্রয়কৃত জমিতে হঠাৎ শ্যামুলী ও তার পরিবারের সদস্যরা অবস্থান নিলে আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে অবগত করে।
৭ জুন বুধবার সকালে শ্যামুলী ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজ্জাকের দখলে থাকা জমিতে জোরপুর্বক ঘড় স্থাপন করতে গেলে রাজ্জাকের পরিবার বিষয়টি পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানাকে অবগত করেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘড় নির্মান না করার জন্য শ্যমলীর পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ জানায়।
কিন্তু পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে শ্যামলী ও তার পরিবার জোর পুর্বক ঘড় তুললে সেখানে এক হ্রদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়।
বিচার প্রার্থী রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যদের কান্নায় এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
রাজ্জাক কান্না জরিত কন্ঠে বলেন আল্লাহর দুনিয়ায় কি অসহায় মানুষের জন্য কোন বিচার নেই! আমি বিচার চাই! আমি বিচার চাই! তিনি শ্যামুলী আকতারের এই জুলুম থেকে বাচতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলের নিকট জোর দাবী জানান।
জমি বিক্রয়কারী মোজাম্মেল আর্মি বলেন
আমি জমি আগে রাজ্জাকের নিকট বিক্রয় করেছি।তারপর শ্যামুলীর নিকট বিক্রি করেছি। সে তুলনায় আগে রাজ্জাকের জমি বুঝে দেয়া উচিত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।