গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নিখোঁজ শিশু বায়েজিদের লাশ উদ্ধারের তিনদিনেই হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বায়েজিদের বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভে ছোট ভাই বায়েজিদকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে বায়েজিদ হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটনের সর্বশেষ তথ্য জানান পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার জানান, ৮ মে বিকেলে শিশু বায়েজিদ নিখোঁজ হয়। এ ব্যপারে ১০ মে পলাশবাড়ী থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শিশুটির মা। একইদিনে প্রধান অভিযুক্ত প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম ওরফে শেরেকুলের ছেলে সাকিব হাসান ওরফে রোমান (১৯) ও সোহবার হোসেনের ছেলে ও রোমানের বন্ধু শরিফুল ইসলামকে (২০) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আসামীদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে সন্তোষজনক তথ্য প্রদান না করায় পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন। ১৪ মে আদালত দুই দিনেরর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ সাকিব হাসান ওরফে রোমান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে ১৫ মে রোমান আদালতে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। রোমানের দাবি বায়েজিদের বোনের সঙ্গে তার প্রেমোর সম্পর্ক ছিল। বর্তমানে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভে মেয়েটির ছোট ভাই বায়েজিদকে সে নিখোঁজের দিনই হত্যা করে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) জনাব মোঃ ইবনে মিজান, পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) জনাব নুর-ই আলম সিদ্দীকি প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: সোমবার (৮ মে) বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর চার বছরের ছেলে বায়েজিদ।
একপর্যায়ে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে বায়েজিদের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।