
উল্লেখ্য; গত ২৩ মার্চ সকালে স্বর্ণা বেগম প্রসব বেদনায় ছঁটফঁট করায় চিকিৎসার জন্য তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভ্যন্তর নেয়া হয়। ওইসময় কর্তব্যরত নার্স আমেনা বেগম ঝর্ণা প্রাথমিকভাবে প্রসূতিকে জরুরি বিভাগে ভর্তি না করে ভাগিয়ে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে স্পেশাল চিকিৎসায় রাত ১২টা নাগাদ সন্তান প্রসব করানো সম্ভব হবে। অবশেষে ভোর ৬টার দিকে প্রসুতির গোপনাঙ্গ কেটে টেনে-হিঁচড়ে ফুঁটফুঁটে মৃত সন্তান বের করেন। কিছুক্ষণ পর নার্স জানায় সন্তানের পর এবার প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেকোন মুহুর্তে মৃত্যু হতে পারে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। পরে তাকে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথেই প্রসুতির করুণ মৃত্যু ঘটে।
এদিকে; গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল্লাহেল মাফী ঘটনাস্থল পরির্দশনে এসে অভিযুক্ত নার্স ঝর্ণার বেতন ভাতাদি বন্ধসহ সাময়িকভাবে অব্যহতি প্রদান করার নির্দেশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ওই অভিযুক্ত নার্সের কার্যক্রম তদন্তের জন্য ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।