
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
রাস্তার সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম রেজোয়ানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলবাড়ী যুব কল্যাণ সমিতির ৪৮টি ইউক্লিপটার্স গাছ কর্তনের অনুমতি দেন উপজেলা গাছ নিলাম কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. তাইফুর রহমান। সেই মোতাবেক গত ১ জানুয়ারি নিলামকৃত ওইসব গাছ কর্তনের সাথে পশ্চিম ফুলবাড়ী গ্রামের চৌরাস্তায় প্রায় ৫০ বছর বয়সী একটি পাকুরের গাছ যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা সেটিও কর্তন করে। এসময় ওই গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল হালিম সরকারসহ অন্যান্যরা পাকুরের গাছটি কর্তনের বিষয়ে কাগজপত্র দেখিতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম রেজোয়ান বলেন সাদুল্লাপুর ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে উক্ত গাছ কর্তন করিতেছি। ওইদিন ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও গাছ কর্তনের সাথে জড়িতরা আব্দুল হালিমসহ অন্যান্যদের গালমন্দ-হুমকি-ধামকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে আব্দুল হালিম উপজেলা ভূমি অফিস থেকে গাছ কর্তনের অনুমতির কাগজ তুলে দেখে সেখানে পাকুরের গাছ কর্তনের কোন অনুমতি নেই। এব্যাপারে আব্দুল হালিম সরকার বাদী হয়ে ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে খোর্দ্দ কোমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম রেজোয়ানসহ আরো ৫জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সাদুল্লাপুর আমলী আদালত, গাইবান্ধায় একটি মামলা দায়ের (সি.আর নং-৫০) করেন।
এ ব্যাপারে খোর্দ্দ কোমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম রেজোয়ানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, উক্ত বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে নিলামকৃত গাছ বিক্রির পর নিলামকারীরা গাছ কর্তন করে নিয়ে গেছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম-এর সাথে মুঠোফোনে গাছ কর্তনের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি তিনি এখনও অবগত নয় বলে জানান।