
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন খুলনা নগরের দৌলতপুর থানা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কাজী মোবাশ্বের বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির সমাবেশের দিন শনিবার দুপুরে আসামিরা ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। এর আগে একই দিন খুলনা রেলস্টেশনে ভাঙচুর এবং পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। খুলনা রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে শনিবার রাত ১০টার দিকে খুলনা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলার আসামি হিসেবে খুলনার দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শিদ কামাল, মহানগর যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী নেহিমুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য কাজী সাজ্জাদ হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ইমাম হোসেন, আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মতলেবুর রহমান, আড়ংঘাটা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজা উর রহমানসহ ৫৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমানকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে যাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। গতকাল খুলনা নগরের ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।