বাজারে হঠাৎ করে চিনির দামে সেঞ্চুরি হওয়ায় দেশে হইচই পড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিনির বাজার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও। রোববার সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি আমদানি হয়েছে। নতুন করে আরও চিনি আমদানি হচ্ছে। চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার তদারকির পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। অবশ্য চিনির বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত শনিবার বাজার অভিযানে নেমেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। সংস্থাটির অভিযানে বাজারে চিনিসংকটের সত্যতা মিলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার রাতে টিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোমবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল স্থানে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করবে। বেলা একটা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি বিক্রি চলবে।
টিসিবি পরিবার কার্ডধারীদের বাইরে সাধারণ মানুষ ৫৫ টাকা দরে টিসিবির এই চিনি কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা এক কেজির বেশি চিনি কিনতে পারবেন না। তবে সোমবার কোন কোন এলাকায় টিসিবির চিনি বিক্রি হবে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। চলতি মাসের প্রথম দিকে সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রতি কেজি ৯০ টাকা। তবে এই দাম কার্যকর হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুতেও চিনির দাম কেজিপ্রতি ৯৫ টাকার একটু ওপরে ছিল। গত বৃহস্পতিবার খোলা চিনির দাম ১০০ টাকার ওপরে উঠেছিল।