দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করতে এবার নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট করতে যাচ্ছে দুদক। দুদকের পঞ্চবার্ষিকীর কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুদক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এ গোয়েন্দা ইউনিটও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং অভিযোগের অনুসন্ধান করবে।
রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের পরিচালক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান, দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল আজিজ ভুঁইয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন থেকে দুর্নীতিবাজরা আর তাদের কালো টাকা লুকিয়ে রাখতে পারবে না। এজন্য দুদক নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট করছে। দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্যরা তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো আমাদের দেবেন এবং আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো’। তিনি বলেন, দুর্নীতি বিষয়ক প্রকৃত তথ্য -উপাত্ত সংগ্রহ করা এবং তদন্ত কার্যক্রমের গতিশীলতা বাড়াতে গোয়েন্দা ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। দিন দিন দুদক শক্তিশালী হচ্ছে। এরমধ্যে দুদক ৪৫০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করেছে। গোয়েন্দা ইউনিট গঠনের পর সংখ্যা আরো বাড়বে।
আলোচনা শেষে বিভাগের শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।সুত্র-বাসস