1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ সাদুল্লাপুরে শিক্ষকদের সাথে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডা. মইনুল হাসান সাদিকের মতবিনিমিয় পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর ১৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা গণপিটুনিতে রুপলাল হত্যাকাণ্ড: টাঙ্গাইল থেকে অন্যতম আসামী রুবেল পাইকার গ্রেপ্তার ঢাকা-৮ আসনে রিকশাচালক সুজনের প্রার্থীতা: নাগরিক অধিকারের ইতিবাচক উদাহরণ পলাশবাড়ীতে মৎস্যজীবি দলের উদ্যোগে বিএনপির নির্বাচনী আলোচনা সভা বরখাস্তের পরও চেয়ারম্যানের চেয়ারে সেই ফ্যাসিস্ট যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ! দামোদরপুর ইউপিতে ক্ষোভ-উত্তেজনা বাড়ছে সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড জাসাস-এর কার্যালয় উদ্বোধন গাইবান্ধা-৪ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবীতে মশাল মিছিল

সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকার ও বৈচিত্র্য রক্ষায় গাইবান্ধায় শোভাযাত্রা আলোচনা ও সাংস্কৃতিক উৎসব

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

‘জনজাতির সাংস্কৃতিক অধিকার ও বৈচিত্র্য রক্ষা কর‘ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দুই শতাধিক সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী গতকাল বুধবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, ওরিয়েন্টেশন ও সাংস্কৃতিক উৎসব। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুন:রায় সেখানে শেষ হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জেলা সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ূম, ইউএনডিপি-মানবাধিকার কর্মীসূচির মাইনোরেটি এক্সপার্ট শংকর পাল, পাহাড়ী সম্প্রদায়ের যুব নেত্রী মল্লিকা রাণী পাহাড়ী, সাঁওতাল সম্প্রদায়ে যুব নেত্রী মনিকা মার্ডী প্রমুখ। পরবর্তীতে ইউএনডিপি-মানবাধিকার কর্মীসূচির মাইনোরেটি এক্সপার্ট শংকর পাল সংস্কৃতি অধিকার ও বৈচিত্র্য এর উপর যুবদের অরিন্টেশন প্রদান করেন। ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্্ প্রোগ্রাম, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় অবলম্বন এইসব কর্মসূচির আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা আর বহু জাতির সম্মিলনে বাংলাদেশ একটি জাতি বৈচিত্র্যের দেশ। এ দেশের পাহাড় থেকে সমতলে ৫০টি আদিবাসী জাতি বাস করে যাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি। তারা সংখ্যায় প্রায় ৪০ লক্ষাধিক, যা মূল বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রায় ২ ভাগ। এদেশের বৈচিত্রময় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংখ্যাগুরু বাঙালিদের পরিচয় নেই বললেই চলে। প্রধান জনগোষ্ঠীর অবহেলা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অভাবে আদিবাসীদের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি আজ প্রায় বিপন্ন। কিছু কিছু এর মধ্যেই হয়ে গেছে বিলুপ্ত। এই বিপন্ন সংস্কৃতি উদ্ধার এবং বিকাশে প্রয়োজনে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিকেলে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার মাহাতো। তিনি বক্তব্যে বলেন যে, বাংলাদেশ সরকার সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষা সংস্কৃতি রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে গোবিন্দগঞ্জে কালচারাল একাডেমি কাজ শুরু হয়েছে। সকল জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি রক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক প্রমতোষ সাহা, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক ও জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, ওয়াজিউর রহমান রাফেল প্রমুখ। পরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরও বাংলাদেশে সাঁওতালদের নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের ৫০টির মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিশু বংশপরম্পরায় ভুলতে বসেছে তাদের নিজস্ব ভাষাগত ঐতিহ্য, লোকগাথা, প্রবাদ প্রবচন ইত্যাদি। সাঁওতাল শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় তাদের সংস্কৃতিও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি শিশুর স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও মেধার বিকাশ হয় তার মাতৃভাষার মধ্য দিয়ে। তাই এ দেশে প্রত্যেক সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিশুর নিজস্ব ভাষা ও নিজ ভাষার বর্ণলিপি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। চর্চার অভাবে এসব বর্ণমালার সবই এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের আদিবাসীরা নিজ ভাষায় কথা বলতে পারলেও নিজস্ব ভাষায় তারা একেবারে নিরক্ষর। সবশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উৎসব পরিবেশিত হয়।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft