
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ’র এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথিকে ভক্তরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গাইবান্ধায় মঙ্গল আরতি, আলোচনা, প্রার্থনা সভা, ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাবতার ভগবান শ্রীীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে জেলার সাত উপজেলায় বিভিন্ন মন্দির ও পূজা প্রাঙ্গণে ছিল নানান আয়োজন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে শহরের ভি-এইড রোড কালিবাড়ি মাতৃঅঙ্গন মন্দির থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় একাধিক শিশু সেজেছিল নাগপঞ্চমীর আশ্রয়ে পিতা বসুদেবের কোলে শিশু শ্রীকৃষ্ণ। জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সভাপতি রণজিৎ বকশী সূর্য্যসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও মন্দির প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশয় দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত: সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।