ইউরিয়া সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন। সোমবার ৮ আগস্ট দুপুরে শহরের ডিবি রোডে আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি কৃষক নেতা গোলাম সাদেক লেবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, কৃষি আমাদের দেশের মেরুদন্ড। কৃষিকে বাঁচাতে যেখানে সরকারের উচিত সর্বোচ্চ ভর্তুকি দেয়া, সেখানে সরকার ইউরিয়ার মত অপরিহার্য সারে প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করেছে। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে, কৃষক সংকটে পড়বে। তারা আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন নি¤œমূখী সেই সময়ে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনস্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে এবং সরকারের সীমাহীন লুটপাটের দায়ভার জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে ইউরিয়া সার ও জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে কৃষি ও কৃষককে বাঁচানোর জোর দাবি জানিয়ে সমাবেশ থেকে বলেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। সামনে আরও কমবে। পাচার বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতা সরকারের। তার দায় জনগণ কেন নেবে? বিদ্যুতের ঘাটতি কমানোর নামে সরকারের কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে করপোরেট মালিকদের লুটপাটের মহোৎসব। জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে সরকার তার দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির নামে। অবিলম্বে বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিজেলের দাম বাড়লে সেচের খরচ বেড়ে যায়। তার উপর কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। এই পরিস্থিতিতে সর্বস্বান্ত কৃষকের আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহণ খরচ বাড়বে। ফলে বাড়বে বাস ভাড়া ও জিনিসপত্রের দাম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক আহসানুল হাবিব সাঈদ, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান খোকা, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, অতুল চন্দ্র, ডাক্তার আব্দুল জব্বার প্রমূখ।