
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় নদী ভাঙন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর উদ্যোগে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় উপপ্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কাছে গণস্বাক্ষরসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লিখিত দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি রেবতী বর্মন, এলাকাবাসী মাহাবুব হোসেন, বাবলু মিয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ উড়িয়া, কাটাদ্বারা নৌঘাট, বানিয়াপাড়া, আমতলীর ঘাট, রতনপুর এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকার ৮টি মসজিদ, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গুণভরি দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়, কবরস্থান, ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এসব ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেলে বিশাল এলাকার জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে। তাই বক্তারা দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। আপাতত স্থায়ী ব্যবস্থা না হলেও অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।