গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের মধু চন্দ্র দাসের বাড়ীতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বসতঘর-আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটের তাণ্ডব চালিয়েছে হামলাকারীরা। ২৬ মে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত চেংটু মিয়ার ছেলে ইসলাম মিয়া ও ময়নুল গংদের সাথে মধু চন্দ্র দাসের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ময়নুল ও তার লোকজন মধু চন্দ্রকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ভয়ভীতি ও টাকার দাবী করে আসছিল। এ বিষয়ে মধু চন্দ্র গত ২১ মে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ২০-২৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র, পেট্রোল, লাঠিসোডা নিয়ে মধুর বসত বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ঘন্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করাসহ লুটতারাজ চালায়।
এ সময় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সহ একটি টিম দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এতে মধু চন্দ্রের প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি ও লুটতরাজ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পরদিন শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছেন সাদুল্লাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়, ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল কবির মিন্টু, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সদস্য শ্রী মোহন চন্দ্র সরকার ও সাবেক পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক উত্তম কর্মকার, সাদুল্লাপুর হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রণজিৎ অধিকারী, উপজেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাত অধিকারী, হিন্দু পরিষদের নেতা মন্টু দাস, ইউনিয়ন পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি বিপ্লব কর্মকার, উজ্জল সাহাসহ প্রমূখ। তারা ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
অপরদিকে এঘটনার খবর পেয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রোকসানা বেগম সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।