
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভন্নতের বাজার-কাঠালতলী বাজারের বেহাল সড়কের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অধীনে পুরো এ সড়কজুড়ে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় দারুণ যানবাহন ও পথ চলাচলের জন্য তা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ভন্নতের বাজার সংলগ্ন সেতুর বাম থেকে দক্ষিণে কাঠালতলী বাজার পর্যন্ত (ভন্নতের বাজার-কাঠালতলী) সড়ক। অনুমান ২০ বছর আগে এলজিইডির অর্থায়নে ১০ ফুট চওড়া এবং প্রায় দেড় কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্য এ রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়। পরবর্তীতে রাস্তাটি আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ না করার কারণে দিন দিন সড়কের কার্পেটিং উঠে মাঝে মধ্যে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। অথচ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কচুয়া, ওসমানের পাড়া, পাঠানপাড়া, উল্যাসোনাতলা, চন্দনপাঠ, বড়াই কান্দি, ঝৈলতলা, গজারিয়া, কামালের পাড়া, গড়গড়িয়াসহ দুইটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন হাট-বাজার ও বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। প্রয়োজনের তাগিদে বেহাল এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের। বড়াইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইদুর রহমান বলেন, এই রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ সড়কে যাতায়াত করে। রাস্তা ভাঙ্গাচুরার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহনসহ অসংখ্য মানুষ চলাচল করে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির পুরো অংশের পাকা নষ্ট হয়ে মাঝে মাঝে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটিতে সব ধরনের চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। জরুরীভাবে সড়কটি সংস্কার হওয়া দরকার। তা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এর চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সড়কটির টেন্ডার এখনও হয়নি। কবে সড়কটি সংস্কার করা হবে তা তিনি সু-নির্দিষ্ট করে জানেন না বলে জানান।