
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। একের পর এক আলোচনার জন্ম দিচ্ছে এই সংগঠনের নির্বাচন। আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক হয়। মূলত তারপর থেকেই বিনোদন প্রেমিদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিল্পী সমিতির নির্বাচন।এই সংগঠনটির নির্বাচন শেষ হয়েছে ২৮ জানুয়ারি। ফল ঘোষণা করা হয় ২৯ জানুয়ারি সকাল ৬টায়। এই ভোটাভুটির ৬ দিন পরও সাধারণ সম্পাদক পদের ভাগ্য আপিল বোর্ডে ঝুলছে।
নির্বাচনের দিন থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন নায়িকা নিপুণ। নির্বাচনে নিপুণ পরাজিত হলে তার অভিযোগের তীর আরও তীক্ষ্ণ হয়। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নিপুণ আবেদনও করেন। এর প্রেক্ষিতে গোটা সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের উপর।বুধবার আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে একটি চিঠি আসে। চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই চিঠি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নায়ক জায়েদ খান। তিনি বলেছেন, এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই। আর আপিল বোর্ডের কার্যকারিতাও নেই আর।মন্ত্রণালয় থেকে আপিল বিভাগের কাছে আসা চিঠির ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, নির্বাচন শেষ। ২৯ জানুয়ারি করা আপিলের নিষ্পত্তি ও চূড়ান্ত রায় নিপুণরা সবাই মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরের কাগজ আমার কাছে আছে। এরপর নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের আর কোনো কার্যকারিতা নেই।আপিল বোর্ডের উপর পাল্টা প্রশ্ন রেখে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্ধারিত সময় পরও নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন করলে সেটি আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ে কীভাবে পাঠায়?’এই নায়ক বলেন, ‘এসব চিঠির কোনো ভিত্তি নেই। ফলাফল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এরপরও বাদীর কিছু বলার থাকলে মহামান্য কোর্টে গিয়ে বলতে পারেন। ’তবে কি আপিল বোর্ডের মধ্যস্থতায় শনিবার বসবেন না? জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘আমাকে সোহান ভাই ফোন দিয়েছিলেন। চিঠিও দেবেন বলেছেন। বসতে চান তিনি। আমি তাকে বলেছি, আমি কেন আপিল বোর্ডের সঙ্গে বসব। কারণ, আপিল বোর্ড তো এখন বিলুপ্ত। কার্যকারিতা ২৯ তারিখেই শেষ হয়ে গেছে। সামনে কমিটির শপথ। সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।