গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ কাকলী খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধু ঢাকার উত্তরার দক্ষিণ খান এলাকায় স্বামীর বাড়িতে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্বশুর বাড়ীতে তিন দিন আগে মারা গেলেও গতকাল বুধবার সকালে তার মরদেহ নিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সে স্বামী শাহিন মিয়া তার মা মোছাঃ রেজিয়া বেগম, খালাতো ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাজলী বেগম পরিবারের লোকজন নিয়ে গাইবান্ধার প্রফেসর কলোনী এলাকায় কাকলীদের বাড়িতে এলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদের আটক করে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান পাখি’র বাড়িতে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান পুলিশ সদস্যসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান। কাকলীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কাকলী’র মা হোসনে আরা জানান, আড়াই বছর আগে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পশ্চিম কুপতলা গ্রামের শাহিন মিয়ার সাথে কাকলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে শাহিন একটি গার্মের্ন্টস ফ্যাক্টারিতে কাজ করত। তাদের পাচ মাস বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুক সহ নানা কারণে শ্বশুরবাড়ীর লোকজন কাকলীকে নির্যাতন করত। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তিনদিন আগে নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
থানা সূত্র জানায়, বাদীর কাছ থেকে এজাহার গ্রহণ করে সেটি ঢাকার দক্ষিণ খান থানায় পাঠানো হবে। সেখানে মামলা দায়ের হওয়ার পর কাকলীর স্বামীসহ আটক চারজনকে নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকায় পাঠানো হবে।