
অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর-এ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন। রেজা কিবরিয়া দলটির আহবায়ক আর নুরুল হক সদস্যসচিব।
এই দল এবং এর সহযোগী সংগঠন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদকে ‘জঙ্গি, সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তারা।
এই দুই দাবিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। এসময় শাহবাগ থেকে পল্টন, বাংলামোটর, সায়েন্স ল্যাব ও টিএসসি অভিমুখী মূল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকেরা দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলার মদদদাতা হিসেবে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন৷ রেজা কিবরিয়াদের অসৎ উদ্দেশ্য জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এঁরা জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠে নেমেছেন। তাঁদের সাম্প্রদায়িক সংগঠন দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সারা দেশে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রামের জে এম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় সুস্পষ্ট প্রমাণসহ নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিজয়া দশমীর দিনে চট্টগ্রামের জে এম সেন পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসকে উসকে দিয়েছিল। এটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন গণ অধিকার পরিষদ এবং ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধ করাসহ হামলার মদদদাতা রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক গংদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলায় রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। ভিডিও ফুটেজে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরও তাঁরা তাঁদের সংগঠনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আদর্শচ্যুত হয়ে রেজা কিবরিয়া এখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে পেইড এজেন্ট হিসেবে মাঠে নেমেছেন। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন গণ অধিকার পরিষদ নামের একটি রাজনৈতিক দোকানে যোগ দিয়ে তিনি নিজের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছেন। সব সময় গিরগিটির মতো রং পরিবর্তন করাই রেজা কিবরিয়াদের স্বভাব।