1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন
৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

সাদুল্লাপুরে ঘাঘট নদীর ভাঙনে সহস্রাধিক পরিবার সর্বশান্ত

  • আপডেট হয়েছে : মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

নাব্যতা সংকটে পানির প্রবাহ কম থাকলেও গাইবান্ধার ঘাঘট নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

গত এক মাসের ব্যবধানে শতাধিক পরিবার তাদের ঘর বাড়ি অন্যত্র সড়িয়ে নিয়েছে। অব্যাহত এ ভাঙনে নদী পাড়ের ২৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বহু সরকারি ছোট বড় স্থাপনা, স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও একটি গুচ্ছগ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে ।যে কোন মুহুর্তে এসব স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বসবাসকারীদের।

তাছাড়া গত এক বছরে এখানকার হাজারো পরিবারের শতশত হেক্টর আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি, গাছপালাসহ চলাচলের রাস্তা বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বুক চিরে আঁকাবাঁকা পথ ধরে বয়ে চলা ঘাঘট নদীটি গিয়ে ঠেকেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। দুই জেলার সীমান্তবর্তী হলেও পুরো নদটি রয়েছে গাইবান্ধার মানচিত্রে। অথচ নদীর ওপারে নদী শাসনসহ জিও ব্যাগ, ব্লক নির্মাণসহ নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। বন্যার সময় উজানের ঢলে পানির চাপ এসে ভর করে গাইবান্ধার অংশে। এ কারণে এ পাড়ে অনাবরত ভাঙনের সৃষ্টি হলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের ছান্নার ঘাট থেকে নাড়ির ছড়া, রসূলপুর ইউনিয়নের কাটা নদী মুখ হয়ে দামোদরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় এলাকার কুটিরপাড়া পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার নদী পাড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টিরও বেশি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে সর্বনাশা এ নদী গিলে খেয়েছে শতশত হেক্টর আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি, গাছপালাসহ চলাচলের রাস্তা।
এলাকাবাসি জানায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়ন হয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলার টুনির চর পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার ঘাঘট পাড়ে রয়েছে একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এ বাঁধেই আশ্রয় হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের। কিন্তু প্রতি বছরের বন্যা আর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অধিকাংশ পরিবার। অনেকে মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে পথে বসেছে।
ঘাঘটের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে।   সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাঁধ সংলগ্ন সাহাবাজ, দক্ষিণ সাহাবাজ, মাস্টারপাড়া ও আকন্দপাড়া গ্রামগুলো রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।  এছাড়া সাদুল্লাপুর উপজেলার রসূলপুর ইউনিয়নের প্রামানিকপাড়া, রহমতপুর, চাঁন্দেরবাজার ও মহিষবান্দি গ্রামসহ দামোদরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড়, কুটিপাড়া, ভাঙ্গারদহ ও জামুডাঙ্গা গ্রামের হাজারো পরিবারের দিন কাটছে আতঙ্কে।
নদী ভাঙনের স্থায়ী ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়া দুলা মোল্লা বলেন, ‘এই বাঁধ দিয়ে সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল ও  বিভিন্ন ধরনের মালামাল পরিবহণ করে থাকে।  ভাঙতে ভাঙতে বাঁধটি  প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবুও নেই সংস্কারের ব্যবস্থা। নেই নির্মাণের কোন উদ্যোগ । এমন পরিস্থিতিতে আমরা বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছি।’

গত ১০ বছর ধরে এবাঁধের উপর  বসবাস করে আসছেন আনজুয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘নদীটা অনেক দূরে আছিল। এখন অনেক কাছে আসচে। অনেক ঘরবাড়ি চলি গেছে। অনেক বাঁচ্চা কোচ্চা পানিত পড়ি মরিও গেইছে।
শ্রীরামপুর গ্রামের আজিজার রহমান মাস্টার বলেন, ‘কমপক্ষে ৪০ বছর আগে রাস্তাটা (বাঁধ) হচে। এটি একটা ঘাট আছিল।সেটা ভাঙতে ভাঙতে ওপারে চলি গেছে। বন্যার টাইমে এক গালা পানি হয়। গত ৫০ বছরেও এই এলাকায় ভাঙন রোধে সামান্যতম কোন কাজও হয় নাই।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রহিম বাদশা বলেন, আমরা বিষয়টি স্থানীয় এমপিকে অবহিত করেছি। আশা করি তিনি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেবেন।’  গাইবান্ধা জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক এসএম আহসান হাবীব স্বাধীন বলেন, ‘প্রতি বছরেই নদী ভেঙে ভেঙে এদিকে চলে আসছে। পূর্বে নদীটি সোজা ছিল। কিন্তু ইদানিং নদী ঘন ঘন বাক নিয়েছে। এজন্য ভাঙন আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন,গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসনের সংসদ সদস্য  উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিষয়টি অবগত আছেন। এরই মধ্যে তিনি এই জনপদকে রক্ষার জন্য সংসদ সদস্যের সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি এ্যাড. আনোয়ারুল আজিম কে পাঠিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি শীগ্রই এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে  ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানো হবে।’

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft