
গ্রামীন কাঁচা রাসাদুল্লাপুরেস্তার ওপরে ছিল একটি কালভার্ট। সেটি গত বছরের বন্যায় ভেঙ্গে গেছে। চলাচলে বেড়ে যায় মানুষের দুর্ভোগ। নতুন করে কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানায় ভুক্তভোগিরা। কিন্তু কর্ণপাত করেনি সংশ্লিষ্টরা। অবশেষ গ্রামবাসীর অর্থায়নে বানানো হলো একটি বাঁশের সাঁকো।শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ রসুলপুর (দক্ষিণপাড়া) এলাকায় দেখা যায়, গ্রামবাসীর বাঁশের সাঁকো নির্মাণের চিত্র। এসময় স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ সাঁকো বসানো কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
এটি স্থাপনে আর্থিক সহযোগিতা করেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও স্বপ্না বেগম । স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাজে অংশ নেয় মোসলেম আলী, রফিকুল ইসলাম, লিটন মিয়া, আব্দুল মাজেদ মিয়া, রাশেদুল ইসলাম, এনামুল হক, হাবিবুর রহমান ও আশিক মিয়াসহ আরও অনেকে।ভুক্তভোগিরা জানান, খোর্দ্দ রসুলপুর (দক্ষিণপাড়া) হাজির জাঙ্গাল-কলপাড়া বটতলা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তার মাঝে একটি কালভার্ট ছিল। স্থানীয় খলশেগাড়ি বিলের পানি হাজির জাঙ্গালের ওই কালভার্ট দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চোঙ্গার বিলে প্রবেশ করেছে। কিন্ত কালভার্টটি গত বছরের বন্যায় ভেঙ্গে গিয়ে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে পানির তীব্র স্রোতে ওই কালভার্ট ও দু’পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে পড়ে। এ কারণে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সহস্রাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা।বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ইসবপুর, ফদিরপুর, খোর্দ্দ রসুলপুর ও বুজরুক রসুলপুর গ্রামসহ আরও বেশ কিছু গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এরপর চলতি বর্ষায় ওইস্থানে ভাঙ্গন গভীরতা আরও বেড়ে যায়। এতে একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মোসলেম আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন স্থানে পুণরায় কালভার্ট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের একাধিক জানিয়েও কাজ হয়নি। ফলে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নির্মাণ করা হলো বাঁশের সাঁকো।জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্ডল জানান, ওই স্থানে কালভার্ট তৈরীর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।