
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র-ঘাঘটসহ জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। সেই সাথে নতুন করে বন্যায় প্লাবিত এলাকা। ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির পর রাস্তাঘাট তলিয়ে ঢুকে পড়ছে মানুষের বাড়ি-ঘরে। আমনের বীজতলা ও ফসল ডুবে যাওয়ায় শঙ্কিত চর-দ্বীপচরের কৃষক। এদিকে বানভাসীদের সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিন উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্রের পাড় উপচে চলাচলের রাস্তাটাও ডুবে গেছে বানের জলে। এ এলাকার মতো ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে থাকা ফুলছড়ি উপজেলার ৬ ইউনিয়নের একই দৃশ্য। তিনদিন ধরে পানিবন্দি ফুলছড়ি উপজেলার চর-দ্বীপচর ও নদের তীরবর্তী মানুষ। এরইমধ্যে মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। কোন কোন এলাকায় চরাঞ্চলের গরীব-দুখীর আশ্রয়স্থলে আঘাত হানছে বানের জল। এ উপজেলায় ভাঙনের মুখে পড়েছে চারটি গ্রাম। অন্যদিকে আমনের চারা ও বীজতলা ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত বর্গাচাষী ও কৃষক।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার লোকজনের জন্য সরকারিভাবে ২০ মেট্রিকটন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যেগুলো ইতোমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে।
এদিকে বানভাসীদের দুর্ভোগ লাঘবের সুখবর দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী শনিবার থেকে কমতে শুরু করবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।