
বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর শোক দিবসে ভূয়া জন্মদিন পালন শুরু করা শোক দিবসকে কটাক্ষ করারই নামান্তর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সদস্য পদ নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য পদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, সদস্য সংগ্রহে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনো চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা প্রাথমিক সদস্য না হতে পারে। এছাড়াও কমিটি গঠনে এক ব্যক্তি কোনোভাবেই দুই পদে থাকতে পারবে না উল্লেখ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অগ্রযাত্রা তা এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি মতভেদ ভুলে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান।
একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের বিষয়টি নিয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কিছুটা একমত পোষণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও কারও ক্ষেত্রে প্রকৃত জন্মতারিখ আর সার্টিফিকেটের জন্ম এক নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বিএনপি নেতাদের কাছে জবাব চেয়ে বলেন, তাই বলে কি কারও পাঁচটি জন্মতারিখ থাকবে?
জাতির সবচেয়ে কষ্টের দিন- জাতীয় শোক দিবসে হঠাৎ করেই ভূয়া জন্মদিন পালন, উৎসব করে কেক কেটে বিএনপির প্রতিহিংসা আর মিথ্যাচারের রাজনীতির বিকৃত উদাহরণ বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
জাতি বেগম জিয়ার জন্মদিন নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান চায় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে প্রমাণ করতে হবে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার সত্যিকার জন্মদিন কি-না?
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ব্যবস্থা ও প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি এবং অনেক উন্নত দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত প্রবৃদ্ধি এবং ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা থেকে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ফুড আউটলুক -জুন ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসেছে, করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়াকে টপকে এখন তৃতীয় স্থানে।