
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশীয় ফলের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কীটনাশক ও প্রিজারভেটিভের অপরিকল্পিত ব্যবহার জনমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ কার্যকলাপ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
আগামীকাল ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৭ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বাস করেন পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ফলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে ফল উৎপাদন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।
খাদ্য ও পুষ্টির পাশাপাশি আয় ও কর্মসংস্থানে ফলদ বৃক্ষের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই’ যথার্থ হয়েছে।
‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ নতুন প্রজন্মসহ আপামর জনগোষ্ঠীর কাছে ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় দেশীয় ফলের ভা-ার ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলেও রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস করেন।
তিনি বলেন, কাষ্ঠসম্পদের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ফলদ বৃক্ষের রয়েছে অপরিসীম অবদান।
প্রাচীনকাল থেকে ফলের বহুবিদ ব্যবহার সর্বজনবিদিত স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ফল বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ লবণের সবচেয়ে ভালো উৎস। ফলের ঔষধি গুণও যথেষ্ট। তাই দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ফলের কোনো জুড়ি নেই।
বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত অনুকূল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে সারাবছর নানা জাতের ও স্বাদের ফল উৎপন্ন হয়। আজকাল বিদেশী ফল স্ট্রবেরি, আঙুর, কমলা ও ম্যান্ডারিনের চাষও দেশে হচ্ছে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ’ ও ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ ২০১৭ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সেই সাথে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও জুন মাসে দেশব্যাপী ‘ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে তিনি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।সূত্র- বাসস