1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় নবাগত ডিসি মাসুদুর রহমান মোল্লা’র যোগদান গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ অর্থের অভাবে ধান কাটতে না পারা চার কৃষকের ৩ একর জমির ধান কেটে দিলেন লালমনিরহাট কৃষকদল ‎ পীরগঞ্জে হানি ট্র্যাপের ঘূর্ণাবর্তে প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার; অন্যদিকে রাসলীলা উপভোগে উন্মত্ত সহকারি শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায়! পীরগঞ্জে খোলা পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে এসি ল্যান্ড অফিসের সামনে! উদ্দীপনায় পলাশবাড়ী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন তারাগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণঅভ্যুত্থান দমন মামলায় হাসিনা–কামালের মৃত্যুদণ্ড “পলাশবাড়ীতে জামায়াতের শোকরানা নামাজ আদায়” পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার ইন্তেকাল ইউএনও’র নেতৃত্বে রাষ্ট্র্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

৬ রোজা ও শাওয়াল মাসের বিশেষ মর্যাদা

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

রমজান এসেছিল রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের সুসংবাদ নিয়ে। মাসব্যাপী মুসলিম উম্মাহ আমল-ইবাদতে রমজান অতিবাহিত করেছে। এবার ৩০ রোজা পালনের মাধ্যমে বিশেষ সৌভাগ্যবান মুমিন মুসলমান। বর্তমান শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা পালন করলেই পুরো এক বছর রোজা পালনের সাওয়াবের অধিকারী হবে।

শাওয়াল মাসে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ রোজা পালনের বিধান প্রবর্তন করে দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ মাসে পালনকৃত এ ৬টি রোজা মুসলিম উম্মাহর জীবনে বছর জুড়ে রোজার সাওয়াব, প্রভূত কল্যাণ, রমজানের রোজা ও আমল কবুলের তাৎপর্যময় আমল হিসেবেও পরিগণিত।

শুধুই কি সাওয়াব আর কল্যাণেই সীমাবদ্ধ শাওয়াল মাস ও ৬ রোজা?
না, এ শাওয়াল মাস ও ৬ রোজা শুধু সাওয়াব, কল্যাণে সীমাবদ্ধ নয়। বরং পুরো বছরই রোজার আমেজ নিয়েই জীবন কাটানোর বিশেষ সুবিধা দেয়। শাওয়াল মাসে ৬ রোজা রাখার ব্যাপারে এমনই ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখলো এবং শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখলো, এটি (শাওয়ালের ৬ রোজা) তার জন্য সারা বছর রোজা রাখার সমতুল্য।’ (মুসলিম)

গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর মাসও শাওয়াল!
এ মাসটি গরিবের মুখে হাসি ফোটানোর মাস। ইসলামের অন্যতম প্রধান দুইটি বিনোদনের একটি এ মাসের প্রথম দিন উদযাপিত হয়। সামর্থ্যবান মুসলিমরা এ মাসের প্রথম দিন গরিব-দুঃখী মানুষকে নিজেদের সঙ্গে ঈদ আনন্দে শরিক করতে অকাতরে দান করেন। ঈদগাহে এক কাতারে নামাজ পড়েন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক কাতারে দাঁড়ানোর মাধ্যমেই সাম্যের বাণী ঘোষণা করে ইসলাম। তা বাস্তবে প্রমাণ করার দিনটি এ মাসেই নির্ধারিত। গরিব-অসহায় মানুষ এ শাওয়ালে হাসিমুখে ধনীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করে। যা বছরের অন্য দিন ও মাসের তুলনায় পুরোপুরি ভিন্ন।

নিশ্চিত দোয়া ও ইবাদত কবুলের মাস শাওয়াল!
শাওয়াল মাসের ৬ রোজা শুধু বছর জুড়ে রোজা পালনের আমেজ ও সাওয়াব পাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং যে সময় থেকে শাওয়াল মাস শুরু হয়। সে সময়টি রোজাদার বান্দার জন্য বিশেষ মূল্যবান।

ঈদের আগের রাত তথা চাঁদ রাত বলতে শাওয়ালের প্রথম রাতকেই বুঝানো হয়। এ রাতের ইবাদতকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা জান্নাত ওয়াজিব করে দেন। বান্দা আল্লাহর কাছে যা চান তা-ই পান। কেননা এ রাতের কোনো প্রার্থনাকারীকে আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ (শাওয়ালের প্রথম রাত এবং ১০ জিলহজের রাত) এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে; সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

নিশ্চিত জান্নাত পাওয়ার মাস শাওয়াল!
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত (ইবাদতের মাধ্যমে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। তাহলো-
জিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত৷
জিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত)
ঈদুল আজহার রাত।
ঈদুল ফিতরের রাত এবং
অর্ধ শাবানের রাত।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব)

আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মাস শাওয়াল!
হজের মাসের আগে এ শাওয়াল মাসেই আল্লাহ তাআলার তাকবিরের সূচনা হয়। আর তা শুরু হয় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পর। যদিও তা ঈদের নামাজ পড়ার আগ পর্যন্ত পড়তে হয়। কিন্তু আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা শুরু হয় এ শাওয়াল মাসের প্রথম প্রহরে। এ দিক থেকেও শাওয়াল মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা স্বীকৃত।

পরিপূর্ণ বরকত ও কল্যাণের মাস শাওয়াল!
শাওয়াল শব্দের মধ্যেও এ মাসের মাহাত্ম্য লুকায়িত আছে। শাওয়াল অর্থই হচ্ছে- প্রসারিত করা, পূর্ণতা দান করা কিংবা উন্নতকরণ। মূল কথা হলো- মহান রাব্বুল আলামিন বান্দার আবেদন-নিবেদনে চাওয়ার হাতকে বরকত ও কল্যাণে ভরপুর করে দেন। আমল-ইবাদত ও রোজা পালনে নিজের আমলকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করে নেন মুমিন। ফলে এ মাসে খুব সহজেই মহান রবের সন্তুষ্টি পেয়ে যায় মুমিন।

পরিশেষে…
শাওয়া মাস ও ৬ রোজার বরকত ও কল্যাণ সম্পর্কে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জবান – মোবারকের একটি হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই। তাহলো-

যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের পর ৬ রোজা রাখবে, সে যেন পূর্ণ বছরই রোজা পালন করল।

আর যে কেউ একটি সৎকর্ম (ভালো কাজ) সম্পন্ন করবে তার জন্য দশ গুণ প্রতিদান রয়েছে।

হাদিসের মর্মার্থই প্রমাণ করে শাওয়াল ও ৬ রোজা মুমিন মুসলমানের জন্য কতবেশি কল্যাণ ও বরকতের।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, দোয়া কবুলের এ মাসে, কল্যাণের এ মাসে, বছর জুড়ে রোজা পালনের সাওয়াব পাওয়ার মাসে একটানা বা বিরতি দিয়ে ৬ রোজা রাখার পাশাপাশি কথা ও কাজে রমজানের আমেজ তৈরি করা। প্রতি মুহূর্তে নেক আমলে নিজেকে নিয়োজিত রাখা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাওয়াল মাসের মর্যাদা ও তাৎপর্য রক্ষা করে চলার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft