গাইবান্ধা জেলার সড়ক ও মহাসড়ক আজ অনিরাপদ মরণ যান ট্রাক্টরের অবাধ চলাচলে। জেলার গ্রামীন রাস্তা গুলো চলাচলের অনউপযোগী হয়েছে পড়েছে এইসব অবৈধ যানবাহন ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে । এতে জেলার সর্বত্র প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এসব দূর্ঘটনায় শিশু কিশোরসহ সকল বয়সের মানুষ প্রান হারাচ্ছে অথবা অঙ্গহানির শিকার হচ্ছেন। দূর্ঘটনা গুলো ঘটার পর পর আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যরা অবৈধ এসব যান বাহন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও কখন যে তা কোন শক্তির বলে বন্ধ হয়ে যায় তা বলা মুশকিল। আবারো গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু পরিবহণে ব্যস্ত ট্রাক্টরের (কাকড়া) চাপায় মোটরসাইকেল চালক এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো এক আরোহী (শিক্ষার্থী) গুরুতর আহত হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীকে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৮ মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-নাকাই সড়কের নতুন বাজার নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক রাকিবুল হাসানের (১৪) মৃত্যু হয়। সে গাইবান্ধা সদরের গোরস্থানপাড়ার হারুন অর রশিদের ছেলে। সে নবম শ্রেণিতে পড়ত।
অপরদিকে আহত ব্যক্তি নিরব মিয়াকে (১৪) স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মালাধর ফকিরপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। সে দশম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানায়, বড়দহ ব্রিজের অদূরে নয়া বাজার এলাকায় নাকাইহাট থেকে বড়দহ ব্রিজ অভিমুখে ট্রাক্টরটি দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিল ড্রাইভার। রাস্তায় শুকানোর জন্য ধানের খড় (পল) বিছানো থাকায় ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধর্মপুর থেকে নাকাইহাট অভিমুখে যাওয়া মোটর সাইকেলকে সামনের দিক থেকে চাপা দেয়। পরে এমপিথ্রিটি (কাকড়া) রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।এ ঘটনায় মোটর সাইকেলের এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং একজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাক্টর ডাইভার পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটির নম্বর রংপুর মেট্রো-ল-১১-০২৫৩। ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই জহুরুল ইসলাম।