চট্টগ্রামের বাঁশখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে হতাহতের ঘটনায় গাইবান্ধা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এসব দল ও সংগঠনের নেতারা। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং আহতদের রাষ্ট্রীয় খরচে সুচিকিৎসার দাবি জানান তারা।
গাইবান্ধা জেলা শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি সমাধান না করে পুলিশ ডেকে নির্বিচারে শ্রমিক হত্যা করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে পুলিশি রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে, যা গণতান্ত্রিক সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। তারা এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত, সরকারী উদ্যোগে চিকিৎসা ও আহত-নিহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের জেলা সংগঠক শামিম আরা মিনা, সবুজ মিয়া প্রমুখ।
অন্যদিকে শহরের ডিবি রোডে জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বাঁশখালী হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিহত-আহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দাবি করা হয়েছে। জেলা বামজোটের সমন্বয়ক গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, জেলা বাসদ সদস্য সুকুমার মোদক প্রমুখ।