ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দেয়।
তবে চিকিৎসকরা তাকে আরও ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে চেয়েছিল। তবে আজই বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন মমতা। তার অনুরোধে সম্মতি দেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানান, ঘাড়, কাঁধ কবজির ব্যথা আর নেই। গোড়ালির ফোলা খানিকটা কমলেও ব্যাথা রয়েছে।
তবে আপাতত হাঁটাচলা করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর সাথে হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে তাকে। কারণ তার পায়ের পাতা এবং গোড়ালি ফুলে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র আরো জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের প্লাস্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। তাকে মেডিক্যাল জুতো ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তবে মমতা বন্দোপাধ্যায় জুতো ব্যবহার করেন না। তাই তার বদলে বিশেষ ধরনের চপ্পল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তৃণমূল সাংসদ ও চিকিৎসক শান্তনু সেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, মমতার পায়ে পায়ের পাতায় চিড় আছে। লিগামেন্ট ও টিস্যুতেও চোট লেগেছে তার। ডানদিকের কাঁধে ও হাতের কব্জিতে চোট রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রমার মধ্যে ছিলেন। সেদিন বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলেন। এই ধরনের চোট সাধারণত দেড় থেকে দুই মাস বিশ্রামে থাকার প্রয়োজন পড়ে।
ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার নির্বাচনী প্রচার নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছিলেন। কিন্তু নির্বাচন ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছে। সম্ভবত সে কারণে তিনি হাসপাতালে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে চাননি।
গতকাল নিজেই একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার চালাবেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে বলেছিলেন, এটা ঠিক যে খুব জোর আমার লেগেছিল এবং আমার হাত-পায়ে চোট আছে, বোন ইনজুরি আছে, লিগামেন্টে চোট আছে। আমার অনুরোধ, সকলে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভালো থাকুন। তবে হয়তো পায়ের প্রবলেম থাকবে, সেটা আমি ম্যানেজ করে নেব।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানা গেছে, আগামী রোববার দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।