1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
তারাগঞ্জে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় আনন্দ মিছিল তারাগঞ্জে অধ্যক্ষ সালামের অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সাদুল্লাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের পরিচিতি ও আলোচনা সভা গাইবান্ধায় ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচীর আওতায় মেধাবিকাশ বৃত্তি প্রদান গাইবান্ধা পুলিশ লাইন্স স্কুল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার পীরগঞ্জে আবাদি জমির মাটি কাটা নিয়ে বিতর্ক: প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই আবাদি জমি নষ্টের অভিযোগ ‎২৭ লাখ টাকার স্বর্ণ কাতান শাড়ি জব্দ, লালমনিরহাটে বিজিবির বড় সাফল্য তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে ২ লাখ টাকা জরিমানা পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য খাইরুল আলমের ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের গভীর শোক

পুলিশের ভুলের শিকার যশোরের দিনমজুর

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

পিতার নামের মিল থাকায় যশোরে বিনাঅপরাধে চার মাস হাজতবাসের পর বিষয়টি আদালতের নজরে আসায় মুক্তি পান মিন্টু মোল্যা। ভুক্তভোগী মিন্টু মোল্যা পেশায় দিনমজুর।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে মুক্তি দেয় আদালত।

মিন্টু মোল্যা বেনাপোলের দিঘিরপাড় এলাকার মৃত মোহর আলী মোল্যার ছেলে। আর সাজাপ্রাপ্ত আশরাফ আলী বেনাপোলের দিঘিরপাড়া এলাকার মৃত মোহর আলীর ছেলে।

মিন্টু মোল্যা জানান, গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে তার বাড়িতে হাজির হন বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মাসুম ও একই এলাকার চৌকিদার কালা কবির। তারা দিঘিরপাড়া এলাকার মৃত মোহর আলীর ছেলে আশরাফ আলীর নামে আদালতের দেওয়া এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখান। পিতার নামে মিল থাকায় ওই কপি নিয়ে তাকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় মিন্টু নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি আশরাফ আলী নন বলে দাবি করেন।

কিন্তু কোনো কথাই শুনতে রাজি হননি সেই দারোগা ও চৌকিদার। রাতেই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন সকালে পরিবারের লোকজন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি নিয়ে থানায় গেলেও তাকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে পারেননি। ফলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

পরে কারাগারের মধ্যে দরবার ফাইলে অভিযোগ করেন মিন্টু। কোনো কাজেই আসেনি তার অভিযোগ। অবশেষে গত শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে আসেন আইন মন্ত্রণালয়ের দুজন উপসচিব। এ সময় মিন্টু তাদের কাছেও অভিযোগ করেন যে, ‘তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফ আলী নন।’

বিষয়টি আমলে নিয়ে তারা ব্লাস্টের প্যারালিগ্যাল কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস সূচনাকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেন। এর পর লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তারা জানতে পারেন আশরাফ আলী অন্য এক ব্যক্তি। ফলে এদিনই যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ৬-এর বিচারক মিন্টুকে খালাস দেন আদালত।

মিন্টুর স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। দুটি ছেলে নিয়ে কোনোমতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান তার স্বামী মিন্টু। ঘটনার দিন গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে এলাকার চৌকিদার কালা কবির ও থানার এসআই মাসুম বিনাদোষে তার স্বামীকে আটকের পর জেলখানায় পাঠায়। প্রায় চার মাস তার স্বামী জেলখানায় থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে তাদের দিন পার হয়েছে।

ব্লাস্ট যশোরের কোঅর্ডিনেটর মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক মিন্টু সাজাপ্রাপ্ত আশরাফ আলী নন, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর আদালত তাকে মুক্তি দিয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft