
রংপুরের মিঠাপুকুরে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ব্যবসায়ী হাছান আলীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক নারীসহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর দুর্গাপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে লাবনী বেগম (২৫), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম মিয়া (৩০) এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের মৃত আজগার আলীর ছেলে শাহীন মিয়া (৩৫)।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অপহরণের শিকার হাছান আলী (৪০) মিঠাপুকুর উপজেলার কাশেমপুর পোড়া চাকলা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টায় ব্যবসায়িক কাজ শেষে শুকুরেরহাট বাজার থেকে ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন। সোমবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পীরগাছার দেউতি এলাকা থেকে হাছান আলীকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অপহরণের ঘটনায় জড়িত এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে এসপি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে শুকুরেরহাট বাজারে আসেন হাছান আলী। এরপর তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা। সকাল ১০টার দিকে হাছান আলীর মোবাইল থেকে কল দিয়ে স্ত্রী ও আত্মীয়দের দেড় লাখ টাকা পাঠাতে বলেন অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। তা না হলে হাছানকে ফেরত পাবে না বলে জানান তারা। উপায় না পেয়ে মিঠাপুকুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন হাছান আলীর স্বজনেরা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পীরগাছার দেউতিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাছান আলীকে উদ্ধার ও তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসপি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিন এ ধরনের অপরাধ করে আসছেন তারা। চক্রের সদস্যরা ফেসবুক ও মোবাইলে কথা বলে বন্ধুত্ব গড়েন। পরে দেখা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নেন। কখনো জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে অপহৃতদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালান তারা।