করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ৩৫টি দেশের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে কুয়েত। তবে ওই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের আবাসিক হোটেলে নিজ খরচে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। খবর গালফ নিউজের।
স্থানীয় সময় শুক্রবার কুয়েতের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক (ডিজিসিএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩৫টি দেশের নাগরিকেরা সরাসরি কুয়েত ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে কুয়েত পৌঁছে অবশ্যই নিজ খরচে হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
কুয়েতের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক সালেহ আল ফাদাঘি বলেন, ৩৫ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ৪৫টি হোটেল নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। এসব হোটেলের মধ্য থেকে যেকোনো একটিতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। হোটেলে থাকার জন্য ১৪ দিনের মূল্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ তারকা হোটেলে দুজনে থাকার মতো কক্ষের ভাড়া ৭২৫ কুয়েতি দিনার ও একজনের কক্ষে ৫৯৫ দিনার, চার তারকা হোটেলে দুজনে থাকার কক্ষ ৫৩০ দিনার, একজনের ৪০০ দিনার এবং তিন তারকা হোটেল দুজন থাকলে ৪০০ দিনার এবং একজনের ক্ষেত্রে ভাড়া ২৭০ দিনার পরিশোধ করতে হবে।
কুয়েতে পৌঁছেই সব যাত্রীকে হোটেল ভাড়া নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে এবং ‘কুয়েত মুসাফির আবেদনপত্র’-এ নিবন্ধন করতে হবে। তবে কুয়েতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাত্রী, শিক্ষার্থী, ১৮ বছরের কম বয়সী এবং কূটনৈতিক সফরকারীরা এই নিয়মের বাইরে থাকবেন বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
গত বছরের আগস্টে এই ৩৫ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কুয়েত। শুরুতে তালিকায় ৩১ দেশের নাম থাকলেও পর্যায়ক্রমে এ তালিকায় আফগানিস্তান, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনাকে যুক্ত করা হয়। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্তরাজ্যের নাম যোগ হয়েছিল।
আল রাই পত্রিকাকে একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের ‘উচ্চঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ হিসেবে আরও ৩৩টি দেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে কুয়েত। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।