বিগত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ক্ষমতা দখলের পর সেনাবাহিনী দেশজুড় এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সেনা অভ্যুত্থানের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও অস্বাভাবিক রকম শান্ত হয়ে আছে মিয়ানমার।
সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালেও সব বড় বড় নগরীর বেশিরভাগ সড়ক ফাঁকা ছিল। সব সড়কেই সেনাসদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। আর রাতে কারফিউ জারি হয়েছে।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা গাড়ির হর্ন ও থালাবাসন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় সময় বুধবার থেকে দেশটির প্রধান শহরগুলোয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দারাও বিক্ষোভ করেছেন।
সোমবার অভ্যুত্থানের পর মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে সেগুলো অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের সড়কে যে কয়জনকে দেখা গেছে তাদের চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ। তাদের কেউ কেউ গণতন্ত্রের জন্য তাদের কঠিন লড়াই ভেস্তে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপও করেছেন।
ইয়াঙ্গুনে সোমবার বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারনেট না থাকায় এটিএম বুথগুলোও অচল হয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যাংকের কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে। লোকজনকে লাইন ধরে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ তুলতে দেখা গেছে। ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় তারা হাতে নগদ অর্থ জমা করতে চাইছেন। তবে সোমবার বাজারে লোকজন যেভাবে হুড়োহুড়ি করে নিত্যপণ্য কিনছিল মঙ্গলবার সেই ভিড় বেশ খানিকটা কমে এসেছে।
ইয়াংগুনের বিমানবন্দর মঙ্গলবারও বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। রাজধানী নেপিডোতে মঙ্গলবারও সেনাসদস্যদের ট্যাঙ্ক এবং ট্রাক নিয়ে পার্লামেন্ট ভবন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে।
সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জোরাল হচ্ছে। কিন্তু কোথায় আছেন সু চি? অভ্যুত্থানের একদিন পেরিয়ে গেলেও সেনাবাহিনী এখনও সু চিকে কোথায় আটকে রেখেছে তা নিয়ে মুখ খোলেনি।
সোমবার সু চিকে আটকের পর কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে সেনাবাহিনী বা অন্য কোথাও থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএলডি-র এক এমপি’র বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে উদ্বিগ্ন না হতে বলা হয়েছে। যদিও আমরা খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছি। যদি আমরা বাড়িতে তাদের অবস্থানের কোনও ছবি হাতে পেতাম তাও কিছুটা স্বস্তি পেতাম।
সোমবার এনএলডির আরও বেশ কয়েকজন এমপি’কে আটক করা হয়। তাদেরকেও রাজধানী নেপিডোতে তাদের নিজ নিজ সরকারি বাসভবনে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
ওদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এনএলডি’র কেন্দ্রীয় তথ্য কমিটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কী তোয়ে ফেইসবুকে এক পোস্টে ‘সু চির স্বাস্থ্য ভাল আছে’ বলে জানিয়েছেন। তোয়ে বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন সু চির শরীর ভালো আছে এবং তাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
এনএলডির এক সদস্য একে ‘খোলা আকাশের নিচে বন্দিশালা’ বলে বর্ণনা করেন।
অন্যদিকে, চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া মিয়ানমারের এক সেনাকর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, অভ্যুত্থানের সময় যেসব আঞ্চলিক ও প্রাদেশিক নেতাদের আটক করা হয়েছিল মঙ্গলবার তাদের বেশিরভাগকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাগাইং অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী মিন্ত নাইংকেও সেনাবাহিনী আটক করেছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তির পর বিবিসি’কে তিনি বলেন, তাকে একটি ডরমিটরিতে রাখা হয়েছিল এবং তার সঙ্গে ভাল আচরণ করা হয়েছে। আমি জাতির ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা সবথেকে ভাল কিছুর আশা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের সঙ্গে সবথেকে খারাপটাই ঘটছে।
মিয়ানমারের এই অভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত রক্তপাত হয়নি। জনগণ এখনও শান্ত হয়ে আছে। জাপান, থাইল্যান্ড ও নেপালে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হলেও মিয়ানমারে তেমন কিছু দেখা যায়নি। যদিও সু চি আটক হওয়ার আগে এক বিবৃতিতে জনগণকে রাস্তায় নেমে এ অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে গেছেন বলে দাবি তার দল এনএলডি’র।
তবে প্রতিবাদ যে একেবারে শুরু হয়নি তাও নয়। মিয়ানমারের চিকিৎসকদের একটি দল কালোব্যাজ পরে অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন। অন্তত একজন চিকিৎস প্রতিবাদ স্বরূপ পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে। তিনি হলেন সাগাইং অঞ্চলের মংইওয়া হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিওলজিস্ট ৪৭ বছর বয়স্ক ডা. নাইং তু অং।
তিনি বলেন, এ ধরনের অভ্যুত্থান কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি পদত্যাগ করেছি, কারণ আমি একজন স্বৈরাচারী জান্তা যার দেশ এবং জনগণ নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই তার অধীনে কাজ করতে চাই না। তাদের প্রতি এটাই আমার সেরা জবাব।
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ সংবিধান অনুযায়ী একবছর এবং সোমবার সামরিক জান্তাপ্রধান ‘কাজ শেষ হলেই’ নির্বাচন দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের প্রথম দিনেই ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চি’র মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেছে। তাদের কাউকেই ‘ভারপ্রাপ্ত’ কিংবা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
সু চি সরকারের ২৪ মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। এই মন্ত্রীদের বেশিরভাগই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন আবার সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপি’রও সদস্য।
সেকারণে সেনাবাহিনী মাত্র একবছর পরই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে কিনা তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী সু চির দল এনএলডি’র জয়কে পাত্তা দেয়নি এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে প্রায় দুই দশক সময় লাগিয়ে দিয়েছে।
অভ্যুত্থানের ফলে দেশটির অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করছেন অর্থ ও বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে অভ্যুত্থানের ফলে মিয়ানমার থেকে শত শত কোটি ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ সিঙ্গাপুর। সেখানে মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের ৩৪ শতাংশ এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে। তারপরই আছে হংকংয়ের নাম; মোট বিনিয়োগের ২৬ শতাংশ আসে এখান থেকে।
২০২০ অর্থবছরের (সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছে) জন্য মিয়ানমার বিদেশ থেকে সরাসরি বিনিয়োগের যে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তার অর্থমূল্য প্রায় ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে আবাসন এবং উৎপাদন খাতে। উভয় খাতেই এটা ২০ শতাংশ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর বিনিয়োগ এমনিতেই কমে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর মিয়ানমারের অর্থনৈতিক অগ্রগতি কমে ২ শতাংশে নেমে যাবে। দেশে দারিদ্র গত বছরের তুলনায় বড়বে। ২০১৯ সালের শেষে মিয়ানমারে দারিদ্র্যের হার ছিল ২২.৪ শতাংশ, যেটা বেড়ে ২৭ শতাংশ হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সু চিকে মুক্তি দেওয়া এবং দেশকে পুনরায় গণতন্ত্রের পথে চালিত করার জন্য চাপ বাড়ছে। গণতন্ত্রের পথে না ফিরলে মিয়ানমারে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা এরই মধ্যে বিবেচনা করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব দেশটির উপর খুব বেশি পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, মিয়ানমারে বৈদেশিক বিনিয়োগের বেশিরভাগই এসেছে এশিয়ার দেশ থেকে।
মিয়ানমারে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রকল্প পরিচালনা করছে গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স কনসালটেন্সি ফার্ম ‘ভ্রিয়েন্স অ্যান্ড পার্টনার্স’। তাদের প্রকল্পগুলো মূলত এনার্জি, অবকাঠামো এবং টেলিযোগাযোগ খাতে।
ফার্মের ম্যানেজিং পার্টনার হান্স ভ্রিয়েন্স বলেন, এখন সবকিছুই ঝুঁকির মধ্যে। এমনিতেই কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মিয়ানমারে বৈদেশিক বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। আর এখন তো অবস্থা চরম খারাপে পৌঁছে গেছে।
মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তার প্রভাবও বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর পড়বে বলে মনে করেন হান্স। তিনি বলেন, পশ্চিমা এবং জাপানি কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগ করার আগে দুইবার চিন্তা করবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তবে মিয়ানমারের ব্যবসা-বাণিজ্য চীনের দিকে ঘুরে যাবে। হান্স বলেন, এখন চীন একমাত্র দেশ যেটির দিকে মিয়ানমার যেতে পারে।
ইয়াঙ্গুনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত সবকিছু শান্তই আছে। কিন্তু লোকজন হতাশ হচ্ছে, তাদের মনে ক্ষোভ জমছে। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে তার নেতিবাচক প্রভাব দেশের অর্থনীতির উপর পড়বে। প্রভাব কতটা গভীর হবে সেটা নির্ভর করছে নিষেধাজ্ঞার বিস্তৃতির উপর এবং এ নিষেধাজ্ঞার নিশানায় অভ্যুত্থান ঘটানো নেতারা আছেন কিনা তার ওপর।
আমেরিকান অ্যাপারেল এন্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট স্টেফান লামার বলেন, তাদের ট্রেড গ্রুপের অনেক সদস্যের মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা আছে। সেখানে সেনাঅভ্যুত্থানের কারণে তারা দারুণ উদ্বেগে আছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের জনগণের জন্য অন্তর থেকে সমবেদনা। আমাদের প্রার্থনা সব সময় তাদের সঙ্গে আছে। যেন তারা চলমান সংকট থেকে গণতান্ত্রিক পথে দ্রুত এবং শান্তিপূর্ণভাবে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারে। এই অভ্যুত্থান যেন মিয়ানমারের জনগণের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি কেড়ে নিতে না পারে।
আরেক বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড এইচ অ্যান্ড এম এর এক মুখপাত্র বলেন, তারা মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি গভীর মনযোগে পর্যবেক্ষণ করছেন। এছাড়া, তারা দেশটিতে তাদের সাপ্লাইয়ারদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। পূর্ব নির্ধারিত কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা তাদের এখনও নেই বলেও জানান তিনি।
অভ্যুত্থানের কারণে এরই মধ্যে মিয়ানমারের একটি কোম্পানিকে বাণিজ্য অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। মিয়ানমার ভিত্তিক ইওমা স্ট্রাটেজিক হোল্ডিংস সিঙ্গাপুরে তাদের বাণিজ্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানিটি সিঙ্গাপুরে তালিকাভুক্ত।
ইওমা মিয়ানমারে আবাসন, খাদ্য ও পানীয় এবং স্বয়ংক্রিয় ও আর্থিক পরিষেবা সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী। কোম্পানির প্রধাননির্বাহী বলেন, মিয়ানমারে ঠিক কী ঘটছে তার প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় তাদের ব্যবসা স্থগিত করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, ঠিক কী ঘটছে সেটা বলা আসলেই কঠিন। সোমবার সকাল থেকে আমরা ইয়াংগুনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছি না।
ফিন্যানশিয়াল ডেটা ফার্ম ‘ফিচ সল্যুশন’ এর অনিতা বসু বলেন, অভ্যুত্থানের আগে মিয়ানমারে আগামী অর্থ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি বেড়ে ৬ শতাংশ হবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছিল। এখন হয়ত সেই অগ্রগতি অর্ধেকে নেমে আসবে।
অভ্যুত্থানের ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগে সুনির্দিষ্ট প্রভাব পড়তে যাচ্ছে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিতভাবে বোঝা যাচ্ছে না বলেও জানান অনিতা।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের ফলে এশিয়ার বিনিয়োগকারীদের উপরই সবথেকে বড় প্রভাব পড়বে। এখন পর্যন্ত এশিয়ার দেশগুলো থেকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আমরা সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া জানাতেও দেখেছি। চীনের জন্য এটা বেশ অস্বস্তিকর অবস্থা।
এর আগে মিয়ানমার অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে সেনাশাসনে ছিল। ২০১১ সালে তার অবসান হয়। গণতন্ত্রের ফিরতি পথে সবে ফিরতে শুরু করেছিল দেশটি। মাঝে পেরিয়েছে মাত্র ১০ বছর। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে আবার শাসনক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী।
মিয়ানমারের সর্বশেষ নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং দলের সিনিয়র নেতাদের আটক করে।