
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে সবার আগে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যেভাবে টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে মানুষকে আস্থা ও ভরসা দিচ্ছেন ও আশ্বস্ত করছেন আপনারাও সেই পথ অনুসরণ করুন। আপনারা আগে টিকা নিলে জনগণ ভরসা পাবে।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জনগণের সংশয় নিরসন ও উৎসাহী করতে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে বলেছেন, টিকা যে নিরাপদ এবং বৈধ, তা নিশ্চিত করতে আমিই প্রথম ডোজ নিলাম। টিকা নিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহকে প্রথম ডোজ দিয়ে দেশটিতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা আশা করবো প্রথম টিকাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করার দৃশ্য সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। আর যদি প্রথম ডোজ টিকা না নেন তাহলে জনগণ নিশ্চিত হবে আপনাদের সবকিছুই ভণ্ডামি ও ছলচাতুরি।
রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স প্রতিবেদনে বলেছে- ভারত করোনা ভাইরাস ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে ভারত যদি দেখে এটা নিরাপদ তখন তারা ভারতের জনগণকে এই ভ্যাকসিন দেবে।
তিনি বলেন, করোনার টিকার বেলায় ভিন্ন ব্যবস্থার কথা সরকারি দলের মন্ত্রীদের মুখে শোনা যাচ্ছে। তারা যখন বলেন, করোনার টিকা মন্ত্রী, এমপিরা আগে পাবেন এমন ব্যবস্থা করা হয়নি তখন দেশের মানুষ কনফিউজড হয়ে পড়ে। সরকারের প্রতি আস্থার অভাবের কারণেই মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে কোন কোন মন্ত্রী যখন বলেন, বিএনপি চাইলে করোনার টিকা তাদেরকে সবার আগে দেয়া হবে, তখন এই টিকার প্রতি মানুষ গভীর ষড়যন্ত্র খুঁজে পায়।