অবশেষে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সরকারি ঘরের ভিত্তি স্থাপন করলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন। উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামের গৃহহীন আমেনাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে পরে গৃহহীন আমেনা বেগমের বিষয়টি। ১১ জানুয়ারী বিকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আমেনা বেওয়ার বাড়ীতে এসে এক লক্ষ পচাত্তর হাজার টাকার সরকারী ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেন। এ সময় তিনি আমেনা বেগমের হাতে ফুল,ফল, শুকনা খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেন। গৃহহীন আমেনা বেগম সরকারের বরাদ্দকৃত পাঁকা ঘর পেয়ে প্রাণ ভরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করতে গিয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন এবং তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, বোয়ালীদহ গ্রামের সত্তোরোর্ধ আমেনা বেগম, ঐ গ্রামের সৈয়দ আলীর স্ত্রী, বয়সের ভারে দু’জনেই নুয়ে পড়েছেন। তাদের একমাত্র সন্তান আব্দুর রাজ্জাক সেও প্রতিবন্ধী। আমেনা মানুষের বাড়ী বাড়ী ঘুরে যা পায় তাই দিয়ে অতিকষ্টে চলে তার সংসার। তার স্বামীর নিজ নামীয় ৯ শতক জমি থাকলেও ঘর বলতে ছিল পলিথিন আর খরের বেড়ার যৎসামান্য একটি জরার্জীন ছাপরা ঘর। এ ঘরেই প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বৃদ্ধ আমেনা ও তার স্বামীর বসবাস। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সরেজমিনে তাদের খোঁজ নিতে এসে দু:খ দুর্দশা দেখে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসককে অবগত করলে তিনি আমেনার জন্য একটি সরকারী ঘর বরাদ্দ দেন। আর সে জন্যই তিনি এসেছিলেন আমেনা বেগমের বাড়ীতে। এসময় জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের বিষয় তুলে ধরে উপস্থিত লোকজনের মাঝে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
সাথে উপস্থিত ছিলেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নবী নেওয়াজ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আ’লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার খান বিপ্লব, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম সাবিন, সাদুল্লাপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহজাহান সোহেল, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম রেজা, আমিনুল ইসলাম, খবরের প্রথম প্রতিবেদক তোফায়েল হোসেন জাকির, শহিদুল ইসলাম,লাবলু প্রামানিক, ধাপেরহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।