যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের বিভিন্ন স্থানে জেসন নাইটেঙ্গল (৩২) নামে এক বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন।
হামলাকারীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চার নারী ও শিশু। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে হামলাকারী জেসন নাইটেঙ্গলও নিহত হন। খবর. নিউইয়র্ক টাইমসের।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে শহরটির এভান্সটনের কয়েকটি এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (৩০)। অন্য দুজনের মধ্যে একজন ২০ বছর বয়সী যুবক এবং অপরজন একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী (৪৬)।
গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহতদের মধ্যে দুজন বৃদ্ধা (বয়স যথাক্রমে ৭৭ ও ৮১ বছর), একজন মধ্য বয়সী নারী ও ১৫ বছরের এক কিশোরী রয়েছেন।
পুলিশের ধারণা, হামলাকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত হতে পারে। ঘটনার ক্লু উদ্ধারে শিকাগো পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে সিরিজ ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে শিকাগো পুলিশ।
শিকাগোর পুলিশ কর্মকর্তা ডেভিড ব্রাউন জানান, শনিবার দুপুরে শহরের দক্ষিণ দিকে হাইডি পার্কসংলগ্ন এলাকায় শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করে জেসন নাইটেঙ্গল।
এর পর সে পাশের একটি বহুতল ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকেই একজন নিরাপত্তাকর্মী এবং বৃদ্ধাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়। বৃদ্ধাও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
সেখান থেকে বের হয়ে পাশের একটি দোকানে গিয়ে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে জেসন। একই সঙ্গে ৮১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মাথায় গুলি করে সে। ওই দোকান থেকে বের হওয়ার সময় রাস্তায় ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে গাড়িতে করে যাচ্ছিল। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায় নাইটেঙ্গল। পরে তিনি শহরের উত্তর ইভাস্টন এলাকায় গিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
এতে একজন নারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে শিকাগো সীমান্তে পার্কিং লটে পুলিশের মুখোমুখি হয় জেসন। সেখানে গোলাগুলির সময় বন্দুকধারী জেসন নিহত হন।