বাংলাদেশ সরকারের জরুরি সেবা ৯৯৯-ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ডাকাতের কবল থেকে অটো চালককে উদ্ধার করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। একই সাথে ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক ও মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫ টার সময় একদল ডাকাত গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার গোবিন্দগঞ্জ-পলাশবাড়ী মহাসড়কের বোয়ালিয়া হেলিপ্যাডের সামনে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির জন্য রংপুরগামী নাবিল পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস আটকের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ঐ সময় কাটাখালি এলাকা হতে বিভিন্ন মালামাল বোঝাই ব্যাটারী চালিত একটি ভ্যান ডাকাত দলের সামনে পড়লে ডাকাত দল ভ্যান চালক সাবুকে বেঁধে রেখে তার ভ্যানসহ ভ্যানে থাকা বিভিন্ন মালামাল, মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার খবর ৯৯৯ এর মাধ্যমে পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার মোবাইল অফিসার এসআই আরিফ সহ এসআই মামুন ও এএসআই মুশফিকদের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্যান চালককে উদ্ধার করে।
এসময় তার দেয়া তথ্য মতে ডাকাত দল দুটি ভাগ হয়ে নাকাইহাট অভিমুখে যাওয়ায় কথা বললে পুলিশের টিম দ্রুত নাকাইহাটের দিকে রওনা দিয়ে নয়াবাজার এলাকা হতে ভ্যানচালক সাবু মিয়ার সনাক্ত মতে সকাল ৭টার সময় দুজন ডাকাত আটক করে। তারা হলেন বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল গ্রামের হামিদ মিয়ার পুত্র শিপন ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপর গ্রামের হেলাল মিয়ার পুত্র আতিক। এসময় তাদের ভ্যানে থাকা মাইক সেট, ডিজিটাল ওয়েট মেশিন জব্দ করা হয়। এরপর পুলিশ আটককৃত দু’জনের দেয়া তথ্য মতে পুনরায় উপজেলার রামপুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের সাথে জড়িত রামপুরা গ্রামের রাজিদুল ইসলামের পুত্র রুবেল ও বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথল গ্রামের জামাল মিয়ার পুত্র শামীমকে আটক করে। এসময় তাদের নিকট হতে
ডাকাতি করা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চাপাতি,হাসুয়া,বটি, রশি ও ক্রিকেট ব্যাট উদ্ধার করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান জানিয়েছেন আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আটক চারজনের মধ্যে আসামি রুবেলের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা আদালতে আরও একটি দ্রুত বিচার আইনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে।